রংপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জমজ শিশুর মৃত্যুর দুই দিন পরেও মরদেহ নিতে আসেনি স্বজনরা। ভর্তি রেজিস্টারে পুরো ঠিকানা না দেয়ায় স্বজনদের খুঁজেও পাচ্ছে না পুলিশ। এ পরিস্থিতিতে জমজ শিশু দুটির মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেড হাউজে/মর্গে পড়ে রয়েছে।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুনুর রশীদ বলেন, পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা না থাকায় স্বজনদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে যে নাম ঠিকানা দেয়া হয়েছে, সেখানে গ্রামের নাম উল্লেখ করেনি। এমনকি কোন মোবাইল নম্বরও দেয়নি।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) ভোরে অসুস্থ্য অবস্থায় সদ্য প্রসূত জমজ শিশুকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু দুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ৯ নম্বর শিশু ওয়ার্ডে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় দুপুর ২ টার দিকে শিশু দুটি মারা যায়। এরপর থেকে মৃত শিশু দুটির স্বজনদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ভর্তি রেজিস্টারে পুরো ঠিকানা দেওয়া হয়নি। শুধু শিশু দুটির বাবা নাম বাবু, বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উল্লেখ করা হয়।
নিরুপায় হয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি কোতয়ালী থানাকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে এসআই মামুনুর রশীদ হাসপাতালে এসে রেজিস্টার দেখে স্বজনদের কোন ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর পাননি।
তবে স্বজনদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে, না পেলে ময়না তদন্ত শেষে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফনের ব্যবস্থা করা হবে বলে এসআই মামুনুর রশীদ জানান।