লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় দোকানে ভাঙচুর করে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে কৃষকলীগ নেতা রুমন হোসেনের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) রাতে উপজেলার মেডিকেল মোড় বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন পানের দোকান ও ফার্মেসিতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বুধবার (৫ মে) রুমনসহ ৭জনের নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী পানের দোকানি আব্দুল করিম।
অভিযুক্তরা হলেন, হাতীবান্ধা উপজেলার কেতকি বাড়ি এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে আরিফুল ইসলাম, আরিফুলের মা লাইলি বেগম, একই এলাকার সফিয়ারের ছেলে সুমন, দইখাওয়া এলাকার ছোলেমান গনির ছেলে জহুরুল হক, জহুরুলের স্ত্রী নাজমা ইয়াসমিন, দক্ষিন গড্ডিমারী গ্রামের লাইম্যান জলিলের ছেলে ও হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক রুমন হোসেন, একই এলাকার আশরাফ মিস্ত্রী ও সফিকুর ইষলামের স্ত্রী ফাতেমা ইয়াসমিন দুলালী।
জানা যায়, উপজেলার মেডিকেল মোড় বাস স্ট্যান্ড এলাকায় দোকান ভাড়া নিয়ে পান বিক্রি করতেন আব্দুল করিম। সেই ভাড়া দোকান নিয়ে দুই ভাই আব্দুল লতিফ ও আরিফের দ্বন্দ্ব চলছিলো। এমতাবস্থায় মঙ্গলবার রাতে আরিফ দলবল নিয়ে পানের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ভূক্তভোগী আব্দুল করিম বলেন, তাদের ভাইয়ে ভাইয়ে ঝামেলা আমাদের সাথে কিসের শত্রুতা। আমি ছোট্ট একটি পানের দোকান করে সংসার চালাই। এমনিতে লকডাউন আয় কম। অনেক কষ্টে আছি। তার উপর এতগুলো ক্ষতি। দোকানের ভিতরের মালামাল সব নষ্ট করেছে। টাকাও নিয়ে গেছে। তাই থানায় অভিযোগ করেছি।
অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম বলেন, ওই জমি নিয়ে তার ভাই লতিফের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে সমস্যা চলছে। তবে আমরা কোন ভাঙচুর ও লুট করি নাই।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক রুমন হোসেন বলেন, আরিফ আমার বোন জামাই। দোকান নিয়ে দুই ভাইয়ের ঝামেলা চলছে। তবে আমরা কোন হামলা চালাই নাই।
হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।