পবিত্র ঈদুল ফিতরের তিন দিনের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। এরই মধ্যে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে কিছুটা বেড়েছে যাত্রীর চাপ। তবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৬টি ফেরি চলাচল করায় কোন রকম ভোগান্তি ছাড়াই নদী পার হচ্ছে এ সকল যাত্রীরা।
ঘাটে এসে কোন ভোগান্তি পোহাতে না হলেও সাধারণ মানুষকে মহাসড়কে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ রাখায় চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও তারা যানবাহন পাচ্ছেন না। যানবাহন সংকট রয়েছে চরমে।
আর তাইতো যানবাহন না পেয়ে অনেক যাত্রীকেই গন্তব্যে যেতে হচ্ছে অবৈধ গাড়িতে। অনেকেই আবার পণ্যবাহী ট্রাক কিংবা পিকআপ ভ্যানে যাত্রা করছেন। এ সকল গাড়িতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে তাদের।
সোমবার (১৭ মে) বেলা ৩টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একটি পিকআপ ভ্যানে করে প্রায় ১৫-২০ জন মানুষ দৌলতদিয়া ঘাটে এসেছে নদী পারের জন্য। এর মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে। পুরুষের পাশাপাশি তারাও ঝুঁকি নিয়ে ফিরছেন।
অন্যদিকে দেখা যায়, গরুটানা গাড়িতেও মানুষ আসছে। যাদের মধ্যে কোন সামাজিক দূরত্ব নেই। নেই কোন স্বাস্থ্যবিধি। করোনার ঝুঁকি জেনেও তারা পেটের দায়ে ঢাকামুখী হচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গার্মেন্টস কর্মী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ভাই কি করবো বলেন? লকডাউন ও ঈদের ছুটির মধ্যে ঢাকাতে বসে কি করবো। তাই প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলাম। কিন্তু লকডাউনের কারণে দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকায় আমাদেরকে ভেঙে ভেঙে যেতে হচ্ছে এখন।
ঝিনাইদহ থেকে আসা যাত্রী রাসেল হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, করোনার ঝুঁকি জেনেও ঈদে গ্রামে এসেছিলাম। মন তো মানে না। কিন্তু যেভাবে এসেছিলাম ও ফিরছি সেটা আমাদের ঠিক হচ্ছে না। আমাদের সামনের দিনগুলো কিভাবে যাবে সেটাই ভাবছি।