দেশে আরও তিনজনের শরীরে মিলেছে করোনার ভারতীয় ধরন

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-31 06:56:18

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে তিনজন রোগীর শরীরে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরমধ্যে দুজনের নমুনা গত ১২ মে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থেকে এবং অপরজনের নমুনা ১৬ মে নড়াইল থেকে যবিপ্রবির ল্যাবে পাঠানো হয়।

যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে মঙ্গলবার (১৮ মে) সকালে সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদের নেতৃত্বে একদল গবেষক সিকুয়েন্সির মাধ্যমে করোনাভাইরাসের ভারতীয় এ ধরন শনাক্ত করেন। গবেষণাটি সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন যবিপ্রবির উপাচার্য ও জিনোম সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। ইতিমধ্যে ভারতীয় ধরন শনাক্তের বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদফতর, আইইডিসিআর, যশোর ও নড়াইলের স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।

জিনোম সেন্টার থেকে জানানো হয়েছে, শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। দুজন পুরুষের মধ্যে একজনের বয়স ৬১ এবং অপরজনের বয়স ৩৭ বছর। আর নারী রোগীর বয়স ২৭ বছর। তাদের সকলেই বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

যবিপ্রবির গবেষক দলটি জানান, B1.617.2 নামের ধরনটি জিনোম সেন্টারে শনাক্ত করা হয়েছে। গত ৮ মে যবিপ্রবির ল্যাবে সর্বপ্রথম ২ জন করোনা রোগীর নমুনায় ভারতীয় এ ধরন শনাক্ত করা হয়। এ ধরনটি ইতিমধ্যে বিশ্বের ৬০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ ধরনটিসহ সকল ভারতীয় ধরনকে উদ্বেগের ধরণ বলে আখ্যা দিয়েছে। ইতিমধ্যে ভারতীয় ধরনগুলো নেপালেও ছড়িয়ে পড়েছে। গবেষক দলটি ভারত থেকে আগত সবাইকে করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়া সাপেক্ষে সঙ্গনিরোধে রাখার পরামর্শ দিয়েছে। ভারত ফেরত কোনো রোগীর করোনা পজিটিভ হলে জিনোম সিকুয়েন্সের মাধ্যমে ধরনটি শনাক্ত আবশ্যিক বলে মনে করে গবেষক দলটি। এ ছাড়া বাংলাদেশে ভারতীয় ধরন শনাক্ত হওয়ায় সীমানা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ, বাণিজ্যিক বা অন্য কোনো কারণে চালক ও সহকারীদের কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন ও পরীক্ষা করার প্রয়োজন বলে অভিমত তাঁদের।

গবেষক দলটি জানিয়েছে, ভারতীয় এ ধরনটি ২০ শতাংশের বেশি সংক্রমণের সক্ষমতা রাখে। ভ্যাকসিন পরবর্তী ‘সেরাম এবং মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি’ এ ধরনকে কম শনাক্ত ও নিষ্ক্রিয় করতে পারে। সুতরাং মাস্ক ব্যবহারসহ কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, অতিদ্রুত সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

জিনোম সেন্টারে ভারতীয় ধরন শনাক্তকরণের গবেষক দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- ড. তানভীর ইসলাম, ড. হাসান মোহাম্মদ আল-ইমরান, অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, শোভন লাল সরকার, এ. এস. এম. রুবাইয়াত-উল-আলম, মো: সাজিদ হাসান, আলী আহসান সেতু প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর