ঘূর্ণিঝড় রিমাল: সড়কে ভোগান্তি, গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া
ঘূর্ণিঝড় রিমালউপকূল জুড়ে তান্ডব চালানো ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব এসে পড়েছে রাজধানী ঢাকাতে। রাত থেকেই হওয়া ঝড় বৃষ্টি থামেনি সকালেও। ফলে অফিসগামী যাত্রী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। পাওয়া যাচ্ছে না গণপরিবহন। গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
সোমবার (২৭ মে) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয়স্বরণি, ফার্মগেট, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় সরেজমিনে এই অবস্থা দেখা যায়।
এসময় যাত্রীরা বলেন, 'বৃষ্টি হোক, ঝড় হোক অফিসে তো যেতেই হবে। তাই বৃষ্টির মধ্যেই অফিসের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়েছি। তবে বিপত্তি বেধেছে রাস্তায় এসে। প্রায় আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাস পাচ্ছি না। বাস আছে কিন্তু বাসের দরজা পর্যন্ত যাত্রী ঠাসা।'
তবে এদিন সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে দেখা যায় নারী যাত্রীদের। তেমনই এক যাত্রী আসমা বেগম। শেওড়াপাড়া থেকে যাবেন কারওয়ান বাজার। একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন তিনি। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে দাঁড়িয়েছেন বাসের অপেক্ষায়, বাস ও যাচ্ছে প্রতিনিয়ত তবে যাত্রীতে ঠাসা এসব বাসে কোনভাবেই উঠতে পারছেন না তিনি।
আসমা বেগম বার্তা২৪.কম -কে বলেন, 'প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চেষ্টা করছি বাসে উঠতে, কিন্তু উঠতেই পারছি না। এখন সিএনজি খুঁজছি কিন্তু সেটাও পাচ্ছি না। একটু আগে একটা পেয়েছিলাম কিন্তু সেটাও ভাড়া চাচ্ছে দ্বিগুন।'
রিকশায় চড়ে যাতায়াতেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। এনিয়ে বিএএফ শাহীন কলেজের দুই শিক্ষার্থী জান্নাত ও আজমিম বার্তা২৪.কম কে বলেন, 'কচুক্ষেত থেকে কলেজে যেতে ৪০-৫০ টাকা লাগলেও আজ ৬০-৭০ টাকার নিচে কেউ যেতে চাচ্ছে না। আবার রাস্তায় রিকশাও পাওয়া যায় না। তাই অনেকক্ষণ অপেক্ষা শেষে বাড়তি ভাড়াতেই রিকশা নিলাম।'
এদিন মিরপুর থেকে ফার্মগেট, শাহবাগ, মতিঝিলগামী যাত্রীদের বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। এর কারণ হিসেবে যাত্রীরা জানাচ্ছিলেন, মেট্রোরেল বন্ধ থাকায় তাদের এ ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর থেকে এই রুটে বাসের যাত্রী সং্খ্যা কমে যায় ফলে কোম্পানিগুলো বাস চলাচলও কমিয়ে দেয়। মেট্রোরেল না চলায় এই সীমিত বাসের উপর অধিক যাত্রীর চাপ পড়েছে। ফলে অনেক সময় ধরে অপেক্ষা করেও বাসে উঠতে পারছিলেন না যাত্রীরা।