লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ১০ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঘটনার সময় বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন আসায় তার পরিবারের লোকজন পাশের ঘরে ব্যস্ত ছিল। এ সুযোগে চাচাতো ভাই হারুনুর রশীদ ওই ছাত্রীকে অন্যঘরে একা পেয়ে চোখ-মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। এদিকে ঘটনার পর থেকে মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত তার জ্ঞান ফিরেনি। অচেতন অবস্থায় সে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এরআগে সোমবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার চরমার্টিন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভিকটিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক ও রক্তক্ষরণ হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তব্যরত চিকিৎসক। সে চরমার্টিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
অন্যদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত হারুন পলাতক রয়েছে। হারুন একই গ্রামের সেকান্তার আলীর ছেলে।
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর মা জানান, ঘটনার সময় বাড়িতে অনেক আত্মীয় স্বজন ছিল। এ কারণে পরিবারের সবাই তাদের নিয়ে ব্যস্ত ছিল। এই সুযোগে হারুন তার শিশু মেয়েটিকে একা পেয়ে তুলে নিয়ে পাশের রান্না ঘরে চোখ-মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে তাকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, রক্তাক্ত অবস্থায় একজন শিশু ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার শরীরে যৌন নির্যাতনের প্রাথমিক আলামত পাওয়া গেছে। সে এখনো অচেতন আছে।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।