ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আরও ঘনীভূত হয়ে প্রবল থেকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। কেন্দ্রের কাছে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রভাবে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইয়াস সম্পর্কিত ১৩ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আরও ঘনীভূত হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি আজ বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ -দক্ষিণ পশ্চিমে ছিল, সন্ধ্যায় তা এগিয়ে ৫৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ -দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। একইভাবে কক্সবাজার থেকে বিকেলে ছিল ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণ -দক্ষিণ পশ্চিমে, সন্ধ্যায় তা ৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ -দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। মোংলা বন্দর থেকে ছিল ৪২৫ কিলোমিটার, এখন তা থেকে এগিয়ে ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা বন্দর থেকে বিকালে ছিল ৪২০ কিলোমিটার দক্ষিণে, এখন তা ৪৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে।
বুলেটিনে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলাগুলো এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
পূর্ণিমার প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৬ ফুটের বেশি উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে।