ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ভোলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলার চর নিজাম, ঢাল চর, কাজির চর, কুকরি মুকরি, মাঝেরচর, মুজিবনগরসহ নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। নদী উত্তাল হয়ে পড়ায় ভোলা থেকে ঢাকা-বরিশালসহ অভ্যন্তরীণ রুটে নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে বহু জেলেরা এখনো উত্তাল মেঘনায় মাছ শিকার করছে। মঙ্গলবার (২৫ মে) বিকালে মেঘনার তুলাতুলি এলাকায় ৯ জন জেলে নিয়ে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাৎক্ষণিকভাবে সদর উপজেলা প্রশাসন ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধার করেছে।
উল্লেখ্য, জেলার ৭ উপজেলায় ৭০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এতে অন্তত ৫ লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কেন্দ্রের মাধ্যমে জেলায় ১০ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক ইউনিয়ন এবং গ্রামপর্যায়ে মানুষদেরকে সতর্ক করছেন। জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭৬টি মেডিকেল টিম।