ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় তিন গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে ৮ গ্রামসহ নিমাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫মে) সকাল ৮ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত নদ-নদীর পানি ৩-৪ ফুট বেড়ে ওইসব গ্রাম প্লাবিত হয়। মৎস্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী, মৎস্য চাষিদের প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জোয়ারের পানি তোড়ে উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের নয়ারচর, চরবেষ্টিন ও ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এছাড়া চরমোন্তাজের চরআন্ডা, চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের মধ্য চালিতাবুনিয়া, বিবির হাওলা, চিনাবুনিয়া ও চরলতা গ্রামের ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে লোকালয়ে। এতে ৮ গ্রামসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
এদিকে, লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় ওইসব গ্রামের অসংখ্য পুকুর এবং ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। ক্ষতির মুখে পড়েছে মৎস্য চাষিরা। এছাড়া গ্রামের বসত ঘরবাড়িরও ক্ষয়ক্ষতি হয়। জনজীবন হয় বিপর্যস্ত। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতের (মঙ্গলবার) জোয়ারেও ওইসব গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। জোয়ারের পানি বাড়লে ক্ষয়ক্ষতিও বাড়বে বলে ধারণা তাদের।
চরমোন্তাজ ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ মিয়া বলেন, ‘চরবেষ্টিন ও নয়ারচরের বেড়িবাঁধের কয়েকটি অংশ ভেঙে পানি ঢুকেছে। চরআন্ডায় ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়েই পানি ঢুকে।’ চালিতাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ভাঙা বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে আমার পুরো ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে।’ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল হক বাবুল বলেন, ‘প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী ১৩০টি ঘেরের মাছ ভেসে গিয়ে দুই কোটি দশ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, জোয়ারের পানির তোড়ে বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি প্লাবিত হওয়া কয়েকটি এলাকায় গিয়েছি। আরও খোঁজখবর নিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা হবে।