ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ভোলার লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নে গাছ চাপা পড়ে আবু তাহের নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। অপরদিকে মনপুরার চর ফয়েজ উদ্দিনে পুকুরে পড়ে মারা গেছে লামিয়া নামের এক শিশু।
বুধবার (২৫ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করে লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানিয়েছেন, স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেলার মনপুরা, কাজিরচর, কলাতলীর চর, ঢালচর ও চর নিজামসহ নিম্নাঞ্চলগুলো অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে দফায় দফায় প্লাবিত হচ্ছে। এসব এলাকায় প্রয়োজনের তুলনায় আশ্রয়কেন্দ্র কম থাকায় সাধারণ মানুষ এবং গবাদিপশুগুলো ভোগান্তির কবলে পড়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মোতাহার হোসেন জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় শুকনো খাবার বিতরণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বরাবরে ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে নদী উত্তাল থাকার কারণে দুর্গম চরাঞ্চলে খাবার পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া নদী উত্তাল থাকায় সকল রুটের নৌ-চলাচল বন্ধ আছে।
জেলা প্রশাসনের কাছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য নগদ ১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ও ৪২ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে।