ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিম্নাঞ্চলের ২৫টি গ্রাম।
বুধবার (২৫ মে) সকালে জোয়ারের পানিতে নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হাতিয়ার চারপাশের নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়। প্লাবিত গ্রামগুলো হচ্ছে, মাইচ্ছা মার্কেট, বাদশা মিয়া গ্রাম ও তালুকদার গ্রাম।
এদিকে নিঝুমদ্বীপে বেড়িবাঁধ না থাকায় অস্বাভাবিক জোয়ারে তলিয়ে গেছে ৯টি গ্রাম । প্লাবিত গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে, মোল্লা গ্রাম, মদিনা গ্রাম, ছোয়াখালী গ্রাম, নামার বাজার, চর ওসমান, সিডি এসপি এলাকা, মুন্সি গ্রাম, শতফুল গ্রাম, বাদাম খালী গ্রাম। এসব গ্রাম ৩-৪ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আকবর জানান, হরনী ইউনিয়নের ৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গ্রামগুলো হলো, কাজির টেক গ্রাম, নবীপুর গ্রাম, চেয়ারম্যান ঘাট। চানন্দী ইউনিয়নের মোল্লা গ্রাম, চৌধুরী গ্রাম, রাণী গ্রাম প্লাবিত হয়। এছাড়াও নলচিরা ইউনিয়নের ২টি গ্রাম প্লাবিত হয়।
হাতিয়া ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির সহকারী পরিচালক মো. বদিউজ্জামান জানান, হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের সবগুলো গ্রাম প্লাবিত হয়। আর বাকি ইউনিয়নগুলোর কিছু কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপজেলার ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাব এক হয়ে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। দুর্গত মানুষের আশ্রয়ের জন্যে ১৮১টি আশ্রয়ন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্গত মানুষের জন্যে ইউনিয়ন প্রতি ২ লাখ ৫০হাজার টাকার শুকনো খাওয়ার মজুদ রাখা হয়েছে।