‘ভূমির অবক্ষয় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার’

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-31 10:55:03

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, উর্বর ভূমি সংরক্ষণের পাশাপাশি সবুজ অর্থনীতি ও টেকসই ভবিষ্যত গড়তে ২০৩০ সালের মধ্যে ভূমির অবক্ষয় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে সরকার। UN Convention to Combat Desertification এ স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে এসকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) “Turning Degraded Land into Healthy Land (অবক্ষয়িত ভূমিকে স্বাস্থ্যকর ভূমিতে রূপান্তর)” প্রতিপাদ্য ধারণ করে “বিশ্ব মরুকরণ ও খরা দিবস ২০২১” উদযাপন উপলক্ষে পরিবেশ অধিদফতরে আয়োজিত সেমিনারে সরকারি বাসভবন হতে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকার মরুকরণ ও খরা প্রতিরোধে পানির অপ্রাপ্যতা, বন উজাড়, ভূমিক্ষয় এবং পরিবেশের ওপর মানুষের অপরিকল্পিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে নিরলসভাবে কাজ করছে। মন্ত্রী এসময় ভূমির অবক্ষয় রোধে ইট ভাটায় সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করার উদ্যোগ নেয়ার কথা উল্লেখ করেন।

তিনি জানান, ২০২৫ সালের পরে সরকারি কাজে মাটির তৈরি ইট ব্যবহার করা যাবে না। সরকার গত বছর সাড়ে আট কোটি গাছ রোপণ করেছে এবং এবছর ও আট কোটি গাছ রোপণ করবে। যেকোনো প্রয়োজনে ১ টি গাছ কাটা হলে ৫ টি গাছ লাগানোর নীতি বাস্তবায়ন করা হবে। এসকল উদ্যোগ ভূমির ক্ষয়রোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়নের সাথে সামঞ্জস্য রেখে একটি ভূমি অবক্ষয়-নিরপেক্ষ বিশ্ব অর্জন কার্যক্রম বাস্তবায়নে বাংলাদেশ একটি সক্রিয় অংশীদার। মরুকরণ ও মৃত্তিকা অবক্ষয় রোধ করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা ও গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ বাড়বে; ফলে কৃষকের আয় বৃদ্ধির পথ প্রসারিত হবে। এ কার্যক্রম জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলিকেও প্রশমিত করতে সহায়ক। মন্ত্রী তার বক্তব্যে খরা প্রতিরোধে বনায়ন ও পুনঃবনায়নের ওপর জোর দেন এবং খরা এলাকায় পানি সংরক্ষণাগার স্থাপন করে সেচের ব্যবস্থা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

দেশের দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ত সহিষ্ণু ফসলের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও প্রয়োগ করে উৎপাদন বৃদ্ধির ব্যবস্থা করার ব্যপারে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশে নদীর উজানের পানির প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতার বিষয়ে আলোকপাত করেন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-মন্ত্রী হাবিবুন নাহার ও মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, এনডিসি। সেমিনারে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব প্রফেসর ড. জহুরুল করিম, শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজ এর ডিন এবং মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. অলোক কুমার পাল, পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হুমায়ুন কবির, পরিচালক ড. মুঃ সোহরাব আলি, পরিবেশ অধিদপ্তরের এসএলএম প্রকল্পের সমন্বয়ক মোঃ শোয়েব প্রমুখ। এছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও বেসরকারি সংস্থার বিশেষজ্ঞ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বক্তব্য রাখেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর