আবু ত্ব-হার শরীরে করোনা উপসর্গ দাবি করে পরিবারের লুকোচুরি!

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2023-08-24 14:26:34

আলোচিত ধর্মীয় বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মাদ আদনানের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিয়েছে দাবি করে গণমাধ্যমকর্মীদের এড়িয়ে চলছেন তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা। সুস্থ হয়ে উঠলে গণমাধ্যমকর্মীদের ডেকে বিস্তারিত জানাবেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়।

শনিবার (১৯ জুন) বিকালে রংপুর নগরের সেন্ট্রাল রোডে ত্ব-হার বাড়িতে গেলে এসব তথ্য জানান আবু ত্ব-হার ভাগনে সিরাজুল ইসলাম।

সেখানে ত্ব-হার মা আজেদা বেগম ও বোন রিতিকা রুবাইয়াত ইসলাম সংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। বাড়ির ভেতর থেকে বলা হয়, ত্ব-হা ঘুমিয়ে আছেন। বিশ্রামে আছেন। আবার কখনো বলা হয়, ত্ব-হা তার শ্বশুরবাড়িতে আছেন।

এরপর ত্ব-হার শ্বশুর আজহারুল মণ্ডলের বাড়ি নগরের বাবু খা মাস্টার পাড়ায় গিয়েও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে বাড়ির ভেতর থেকে একজন পুরুষ বলেন, ত্ব-হা অসুস্থ। তিনি তার পরিবারের সঙ্গে আছেন। তার বিশ্রাম প্রয়োজন তাই কারো সঙ্গে কথা বলবেন না।

এর আগে শুক্রবার রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেন, ব্যক্তিগত কারণে গাইবান্ধায় বন্ধুর বাড়িতে আত্মগোপন করেছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ধর্মীয় বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান।

শুক্রবার (১৮ জুন) জুমার নামাজের পর রংপুর নগরীর চারতলা এলাকায় তার প্রথম স্ত্রীর বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন বলে জানান ত্ব-হার স্বজনেরা। খবর পেয়ে বেলা ৩টার দিকে পুলিশ ওই বাড়ি থেকে আদনানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসে।

প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেল ৫টার দিকে পুলিশ জানায়, ১০ জুন রাতে ঢাকার গাবতলী থেকে রংপুরের পথে রওনা হন ত্ব-হা ও তার তিন সঙ্গী। এরপর গাইবান্ধার ত্রি-মোহনিতে শিহাব নামের এক বন্ধুর বাড়িতে আত্মগোপন করেছিলেন তারা। তবে কী সেই ব্যক্তিগত কারণ তা পুলিশ জানাতে রাজি হয়নি। পরে রাত সোয়া ৯টার দিকে ডিবি কার্যালয় থেকে দুই সঙ্গীসহ ত্ব-হাকে আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে জবানবন্দি শেষে রাত সাড়ে ১১টা দিকে আবু ত্ব-হা আদনান ও তার দুই সঙ্গীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের আদেশ দেন মেট্রোপলিটন জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক কেএম হাফিজুর রহমান। পরে রাতেই নিজ নিজ জিম্মায় তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত১০ জুন বিকাল চারটার দিকে তিন সঙ্গীসহ আদনান রংপুর থেকে ভাড়া করা একটি গাড়িতে ঢাকায় রওনা দেন। রাতে মোবাইল ফোনে সর্বশেষ কথা হলে আদনান সাভারে যাচ্ছেন বলে তার মাকে জানান। এরপর রাত ২টা ৩৭ মিনিটে স্ত্রী হাবিবা নূরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয় আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনানের। এ সময় তিনি ঢাকার গাবতলীতে আছেন বলে জানান। তারপর থেকেই তার ফোন বন্ধ থাকায় আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ সময় ত্ব-হার সঙ্গে আব্দুল মুহিত, মোহাম্মদ ফিরোজ ও গাড়িচালক আমির উদ্দীন ছিলেন। ওই রাত থেকে তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি শেষে তাকে না পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় রংপুর কোতোয়ালি থানায় জিডি করেন তার মা আজেদা বেগম।

এ সম্পর্কিত আরও খবর