চুয়াডাঙ্গায় ৭ বছরের মেয়েকে হত্যার দায়ে মা গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় নিজের ৭ বছর বয়সী মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে মা পপি খাতুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পপি খাতুন কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী ও চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভোগাইল বগাদী গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে। গত রোববার (৫ মে) সকালে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশু মাইশার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করেন তার মা পপি খাতুন ও স্বজনরা। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ওই শিশুর মৃত্যু বিদ্যুতস্পৃষ্টে নয়, বরং শ্বাসরোধে হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানান। পরে ওই শিশুর মাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজের মেয়েকে হত্যার দায় স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে সোমবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এ ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন।

পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে শিশু মাইশা খাতুন (৭) তার নানার বাড়িতে মোবাইল চার্জারের তার গলায় জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়েছে, এমন ইতিহাস নিয়ে ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজন তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সকাল ১০টার দিকে কর্তব্যরত ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ওই শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

মৃত কন্যাসন্তানের মা পপি খাতুন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে, এমন তথ্যসম্বলিত একটি লিখিত অভিযোগ করলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওই দিন রাতে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করেন। অতঃপর অপমৃত্যু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আতিকুর রহমান জুয়েল রানা কর্তৃক এই কন্যাশিশু সন্তানের মৃত্যু বিষয়ে ঘটনাস্থল থেকে নানা ধরণের নেতিবাচক তথ্য পান।

মেয়েটির দুর্ঘটনামূলক মৃত্যু নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হলে, তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। এরই মাঝে তার পরিবারের পক্ষ থেকে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ দাফনের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশ সুপারের মৌখিক নির্দেশে ওই কন্যাশিশু সন্তানের মৃত্যুটি হত্যাজনিত না দুর্ঘটনামূলক, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতসহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কর্তৃক সুনির্দিষ্ট মতামত গ্রহণের জন্য ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে মর্মে সুনির্দিষ্ট মতামত প্রদান করেন। অতঃপর ওই শিশুর নানা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে আলমডাঙ্গা থানায় গত ৩ মে একটি খুন মামলা রুজু হয়।

রোববার (৫ এপ্রিল) সকালে পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান ওই শিশুর বাড়ি পরিদর্শন করেন। এসময় মৃত শিশু মাইশার মা পপি খাতুনের কথা-বার্তায় সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি স্বেচ্ছায় এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন। কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হলো? তার কোনো সহযোগী ছিল কিনা?- এসব প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেন যে, তিনি নিজেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

পুলিশ সুপার আরও জানান, ওই শিশুর মা পপি খাতুনের পূর্বাপর পারিবারিক ব্যক্তি জীবন, বৈবাহিক জীবন অতঃপর বিবাহ বিচ্ছেদ এবং বিবাহ বিচ্ছেদ পরবর্তী সময়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি পাওয়া গেছে যা এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে বলে এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে।

পুলিশ সুপার বলেন, এই মামলায় পপি খাতুন বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, ডিআও-১ আবু জিহাদ ফখরুল আলম খানসহ পুলিশের কর্মকর্তারা।

   

সুবর্ণচরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নারীকে ধর্ষণ, আটক ১



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন এক নারীকে (৫০) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার দিনগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নে এ ঘটনাটি ঘটে।

আটক মো. সেলিম ওরফে সেলিম ভাণ্ডারী (৪০) উপজেলার ধানেরশীষ গ্রামের মৃত ফয়জুল হকের ছেলে।

সোমবার (২৭ মে) দুপুরের দিকে গ্রেফতার দেখিয়ে আসামিকে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।

পুলিশ স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে ভিকটিমের সঙ্গে তার স্বামীর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তার দুই মেয়ের বিয়ে দেওয়ার কারণে তিনি বাড়িতে একা থাকেন।

এ সুযোগে শনিবার দিনগত রাত ১টার দিকে সেলিম ভাণ্ডারী ওই নারীর ঘরে ঢুকে পড়েন। একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রের মুখে তাকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে নির্যাতিত নারীর কান্না শুনে তার বাড়ির স্বজনেরা এগিয়ে এলে বিষয়টি জানাজানি হয়। তাৎক্ষণিক বিষয়টি অভিযুক্ত সেলিম ভাণ্ডারীর ভাই আলাউদ্দিন কালুকে ভিকটিমের পরিবার জানালে তিনি তাদের হত্যার হুমকি দেন। পরে পুলিশ রোববার বিকেলে আসামিকে উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের কেরামতপুর গ্রাম থেকে আটক করে।

এ বিষয়ে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাউছার আলম ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে।
ওই মামলায় সোমবার সকালে আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২শ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

;

কুমারখালীতে ট্রেনে কাটা পড়ে ভারসাম্যহীন কিশোরের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ট্রেনে কাটা পড়ে রানা শেখ (১৭) নামে এক ভারসাম্যহীন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। রানা উপজেলার সদকী ইউনিয়নের ঝাউতলা গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে।

সোমবার (২৭ মে) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার বাটিকামারা জিজাবাগান এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের বড় ভাই রিপন জানান, রানা ছোটবেলা থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। এজন্য তাকে বাড়িতে আটকে রাখা হয়। আজ পরিবারের সদস্যদের অগোচরে বাড়ির বাইরে বের হয়ে সে ট্রেনে কাটা পড়ে।

কুমারখালী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার শফিকুল ইসলাম জানান, সোমবার ভোর ৫টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বেনাপোল এক্সপ্রেস টেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে।

;

ভালুকায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ডোবার পানিতে সাঁতার কাটতে গিয়ে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাই-বোন।

সোমবার (২৭ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নের সোয়াইল উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো- উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নের সোয়াইল উত্তর পাড়া গ্রামের বিল্লাল হোসনের ছেলে জুনায়েদ (১২)। সে বনকুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। এবং একই এলাকার প্রবাসী রুপচাঁন সরকারের মেয়ে তাহমিনা (১০)। সে নিঝুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

জানা যায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার মাঝে বাড়ির পাশে ঝড়ে পড়া আম কুড়াতে যায়। আম কুড়ানোর পর তারা বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নিঝুরী খাল সংলগ্ন সদ্য খননকৃত (ফিসারির জন্য) একটি ডুবায় সাঁতার কাটতে না্মে। সাতার কাটতে কাটতে তারা আর ডুবা থেকে উঠতে পারছিলেন না। পরে দুই ভাই-বোন মিলে সবার ছোট বোন (শিশু) তামান্নাকে পানি থেকে তুলে বাড়িতে পাঠিয়ে খবর দেয়। তামান্নার খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন ছুটে যান এবং পানি থেকে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

ইউপি সদস্য ওমর ফারুক বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

;

নোয়াখালীতে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত (৫০) এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ৭ নং বজরা ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামের টক্কার ফুলের দক্ষিণে খেয়াঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

চৌমুহনী রেল স্টেশনের মাস্টার মো. ফখরুল ইসলাম নোমান বলেন, বেলা সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লার লাকসামের উদ্দেশে সোনাপুর থেকে ছেড়ে যায় নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেনটি। ট্রেনটি মাইজদী স্টেশন হয়ে লাকসামের উদ্দেশে রওনা করে সোনাইমুড়ীর বজরা ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামের টক্কার ফুলের দক্ষিণে খেয়াঘাট এলাকায় পৌঁছলে সেখানে ট্রেনে কাটা পড়ে ৫০ বছর বয়সী ওই নারী মারা যায়।

চৌমুহনী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) হাতেম আলী ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শী কেউ ছিল না। দূর থেকে স্থানীয়রা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে চৌমুহনী পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। বিকেলের দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। তবে এখন পর্যন্ত তার নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।

;