‘কিশোরী ও অভিভাবকদের সাথে পরামর্শ করা গেলে বাল্যবিবাহ রোধ সম্ভব’

, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-28 22:10:12

কন্যাশিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের পরামর্শ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, কেননা স্থানীয় নেতৃবৃন্দের তৃণমূল পর্যায়ে অভিজ্ঞতা বিদ্যমান। ইউনিয়ন পর্যায়ে কিশোরী ও অভিভাবকদের সাথে পরামর্শ করা গেলে বাল্যবিবাহ অনেকখানি প্রতিরোধ সম্ভব।

রোববার (২০ জুন) বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ পার্লামেন্টারিয়ান্স অন পপুলেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (বিএপিপিডি) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার একথা বলেন।

এসপিসিপিডি প্রকল্পের আওতায় গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আয়োজিত কোভিডকালীন কিশোরী স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক পরামর্শ কর্মশালার শুভ উদ্বোধন করেন স্পিকার।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, একজন কন্যাশিশুর স্বাস্থ্যের যথাযথ সুরক্ষা ও পরিচর্যার জন্য বাল্যবিবাহ একটি প্রতিবন্ধকতা। সারা দেশের জেলা-উপজেলায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মাতৃস্বাস্থ্য ও কন্যাশিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতনতা ও পরামর্শমূলক সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ পার্লামেন্টারিয়ান্স অন পপুলেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (বিএপিপিডি)। এ সকল সভার মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সচেতনতা বেড়েছে।

স্পিকার বলেন, বিএপিপিডি একটি প্লাটফর্ম তৈরি করতে পারে যেখানে স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ সংযুক্ত থেকে তাদের মতবিনিময় করতে পারে। কন্যাশিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের পরামর্শ খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা তাদের তৃণমূল পর্যায়ে অভিজ্ঞতা বিদ্যমান। ইউনিয়ন পর্যায়ে কিশোরী ও অভিভাবকদের সাথে পরামর্শ করা গেলে বাল্যবিবাহ অনেকখানি প্রতিরোধ সম্ভব। দেশে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আইন রয়েছে। পরামর্শ সভার মাধ্যমে অভিভাবকদের বাল্যবিবাহের বিজ্ঞানসম্মত ও যুক্তিসঙ্গত কুফল সম্পর্কে সচেতন করা গেলে এই আইনের যথাযথ প্রয়োগ সম্ভব হবে। মাতৃমৃত্যু হ্রাসকরণের জন্য বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ প্রয়োজন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু কমিয়ে আনার জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক পুরস্কৃত হয়েছি। নারীশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত কার্যক্রম অতুলনীয়। উপবৃত্তি ব্যবস্থা মেয়েদের বিদ্যালয়মুখী করেছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে ওয়াশ ব্লকের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যার সুফল গ্রামাঞ্চলে বিস্তৃত হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে হেলথলাইন ব্যবস্থা নারীদের সুফল বয়ে এনেছে। এ ধরনের প্রযুক্তিগত সহায়তাগুলোকে সকলের সমন্বয়ে কাজে লাগাতে হবে। কোভিডকালীন মহামারির মধ্যে সমগ্র বিশ্বেই নারীদের ওপর বিরূপ প্রভাব পরছে। কোভিডকালীন সময়ে নারীরা যেন নির্যাতনের শিকার না হন সেজন্য জাতিসংঘ থেকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ও প্রকল্প পরিচালক এম এ কামাল বিল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি, আরমা দত্ত, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, শহীদুজ্জামান সরকার, মেহের আফরোজ, উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, আবিদা আঞ্জুম মিতা বক্তব্য রাখেন। ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. আশা টর্কেলসন অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান ও সংশ্লিষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর