করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় ঢাকাকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ জুন) থেকে রাজধানীর আশপাশের সাতটি জেলায় কঠোর লকডাউন চলছে। চলবে আগামী ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত। সারাদেশ থেকে রাজধানীকে বিচ্ছিন্ন রাখতেই সরকারের এই পদক্ষেপ। লকডাউনের ফলে ঢাকার সঙ্গে আশপাশের জেলা সমূহের গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ করেও আটকানো যায়নি জনস্রোত।
ঢাকায় প্রবেশ ও ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আসা-যাওয়া চলছে অনেকটা স্বাভাবিক নিয়মেই। যেতে হচ্ছে ভেঙে ভেঙে- পার্থক্য শুধু এতটুকু। তবে আগের তুলনায় যাতায়াত খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ, সাথে ভোগান্তি তো রয়েছেই।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাজধানীর গাবতলি বাস টার্মিনাল ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
গাবতলি বাস টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছেড়ে না গেলেও মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও মোটরবাই যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে। ভাড়া কয়েকগুণ বেশি। গাবতলী থেকে মোটরসাইকেলে পাটুরিয়া ফেরিঘাট যেতে জনপ্রতি ভাড়া লাগছে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা। তবে মোটরসাইকেল দুইজন গেলে জনপ্রতি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা লাগছে। প্রাইভেটকারে লাগছে ৫০০ টাকা। ট্রাকেও যাত্রী পরিবহন করছে।
গাবতলী থেকে বাস না থাকলেও আমিন বাজর ব্রিজ পার হলেই মিলছে বাস। সারি সারি বাস দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছে। সরজমিনে দেখা যায় গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে পাঁয়ে হেঁটে ব্রিজ পার হয়ে বাসে উঠছে।
আমিন বাসারে কথা হয় কামরুল ইসলামের সঙ্গে। গুলিস্তান থেকে গ্রামের বাড়ি পাবনা যাবেন তিনি। গাবতলী থেকে হেঁটে আমিন বাজার ব্রিজের পার হয়েছেন। কামরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, গাড়ি বন্ধ করলে কী হবে? মানুষই ঠিকই যাচ্ছে। যেতে কষ্ট হচ্ছে আর ভাড়া বেশি লাগছে। তাছাড়া আর কোনো ঝামেলা নেই।
তিনি জানান, আমিন বাজার থেকে বাসে চড়ে মানিকগঞ্জের বারবারি যাবেন। সেখান থেকে গাড়ি পাল্টিয়ে যাবেন পাবনা।
২১ জুন করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ঢাকার আশপাশের চারটিসহ সাতটি জেলায় লকডাউন ঘোষণা করে। জেলাগুলোতে আগামী ৯ দিন জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব ধরনের কার্যক্রম ও চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এই সাত জেলায় লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই ঢাকার সঙ্গে সারাদেশে দূরপাল্লার বাস ও সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে রাজধানীতে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন, শপিংমল খোলা রয়েছে।