লকডাউনের প্রভাব পড়েছে কামারশালায়

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-25 02:29:01

ঈদকে ঘিরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কামারশালাগুলোতে নেই তেমন ব্যস্ততা। যেখানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলতো তপ্ত লোহাকে পিটিয়ে দা, ছুটি, কোপতা তৈরির কাজ। বর্তমানে করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে সরকারের কঠোর লকডাউনের মধ্যে ক্রেতা পাওয়া নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন কামাররা কিন্তু এবারও করোনার কারণে সেরকম ব্যস্ততা নেই।

জেলা শহরের কামারশালা ঘুরে দেখা যায় আগের মতো ব্যস্ততা নেই কামারদের, লকডাউনে কয়েকটি কামারাশালা খোলা থাকলেও নেই তেমন কাজ। এক মাস আগে থেকে কামারশালায় হাতিয়ার বাননোরা কাজ শুরু হতো। আর পাশে দিয়ে গেলেই শোনা যেত ঠুকঠাক আর লোহা গরম করা ভাতির শব্দ। এবারের চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন। কাজ খুবই কম পাচ্ছেন তারা।

লকডাউনে কয়েকটি কামারাশালা খোলা থাকলেও নেই তেমন কাজ

সিসিডিবি মোড়ের একটি কামারশালায় মালিক সুনিল কর্মকারের জানান, এ বছরও ব্যবসার সময়টাতে লকডাউন। ঈদ আসলেই তাদের কাজের চাপ দ্বিগুণ বেড়ে যায়, কিন্তু এবার তাদের সে পরিমাণ কাজ নেই। ঈদের এক মাস আগে থেকেই দা, ছুরি, বটি, চাপাতিসহ নানা হাতিয়ার তৈরি করা শুরু হতো। কামারশালার সামনে বিক্রি করার জন্য সাজানো থাকতো কোরবানি করার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি আর বিক্রি শুরু হতো দুই সপ্তাহ আগে থেকে। এ বছর তেমন ক্রেতাও নেই, তাই কাজ পাওয়া যাচ্ছে না।

শ্যামপুর এলাকার মিলন কর্মকার জানান, কোরবানির আগের মাস থেকেই ব্যবসা চাঙা হতো। কিন্তু এ বছর তাদের আশানুরুপ কাজ নেই। সামান্য পরিমাণে কাজ পাওয়া গেছে। আর এবার জিনিসপত্রের দামও বেড়ে গেছে, তৈরি করতে সাহস পাওয়া যাচ্ছে না। ভাতি ব্যবহারে কয়লা মজুদ করে রাখতে হতো, এবার সেটি নেই। দা ও কোপতা বানাতে ৪০০, বড় ছুরি ৬০০ টাকা, ছিলা ছুরি ১৫০ টাকা এবং শান দেয়ার মজুরি প্রকারভেদে ৮০ ও ১২০ টাকা নেয়া হচ্ছে। যে কয়দিন সময় আছে লকডাউন শিথিল হলে বেচাকেনা শুরু হতে পারে।

কামারশালায় আসা এনামুল নামে এক ক্রেতা জানান, কোরবানির আগে কামারশালায় ভিড় থাকে। লকডাউনের কারণে সে তুলনায় ভিড় না থাকায় লোহা কিনে নিয়ে চাহিদানুযায়ী দিয়ে চাপাতি ও দা বানিয়ে নেয়া হলো।

এ সম্পর্কিত আরও খবর