মহামারিতে বিশ্বে বৃদ্ধি পেয়েছে ক্ষুধা

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-30 15:37:43

জাতিসংঘের তথ্য মতে বিশ্বে ক্ষুধা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে ২০২০ সালে। যার বেশিরভাগই কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের সাথে সম্পর্কযুক্ত। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ ভাগ বা ৮১ কোটি ১০ লাখ মানুষ গত বছর অপুষ্টিতে ভুগছে। তবে এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) জাতিসংঘের ইউনাইটেড ন্যাশন্স চিলড্রেন্স ফান্ড (ইউনিসেফ) এর দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড অগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (এফএও), (আইএফএডি), (ইউনিসেফ) ও (ডব্লিউএইচও) এর যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা মহামারির মধ্যে এ বছর বিশ্বজুড়ে নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ক্ষুধার্থ ও অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের সংখ্যা। সারা বিশ্বে অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৬৮ লাখে। গত বছরের সঙ্গে এ বছরের এই আমূল পরিবর্তনকে অনেকটা নাটকীয় বলেই আখ্যা দিচ্ছে জাতিসংঘ।

এদিকে এই সংখ্যাটি এটাই নিদর্শন করছে যে ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীকে ক্ষুধামুক্ত করার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হলে বিশ্বকে ব্যাপক প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে ২০১০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে অপরিবর্তনীয় হ্রাসের আশাকে ধুলিস্যাৎ করে দিয়ে ক্ষুধা পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে উদ্বেগজনক ভাবে। ২০ সালের জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে ছাপিয়ে নিরঙ্কুশ এবং অনুপাতিক উভয় ক্ষেত্রেই ক্ষুধা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯.৯ শতাংশ অপুষ্টিতে ভুগেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যা ২০১৯ সালের ৮.৪ শতাংশের চেয়ে বেশি ছিল।

অপুষ্টির শিকার অর্ধেকের বেশি ( ৪১ কোটি ৮ লাখ) এশিয়ায় এবং এক-তৃতীয়াংশের বেশি (২৮ কোটি ২০ লাখ) আফ্রিকায় বসবাস করে। এর মধ্যে ৬ কোটি লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে বসবাস করে। তবে ক্ষুধা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আফ্রিকায়, যেখানে মোট জনসংখ্যার ২১ ভাগই অপুষ্টির শিকার।

জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২০ সালে অপুষ্টিতে সবচেয়ে বেশি শিশুরাই ক্ষতিগ্রস্ত। এই সময়ে ৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ১৪ কোটি ৯০ লাখেরও বেশি শিশু ছিল খর্বকায়। তবে পুষ্টির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। খর্বাকৃতির (স্টার্টিং এর) প্রবণতা ২০১২- ১৩ সালের ৩৬ শতাংশ থেকে ২০১৯ সালে ২৬ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে বাংলাদেশে এখনো পুষ্টির পরিস্থিতি উদ্বেগজনক রয়েছে।

বিশ্বের এই সংকটময় মুহূর্ত ২০৩০ সাল নাগাদ পরিবর্তন আনতে হলে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করছে জাতিসংঘ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর