বান্দরবানে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আসেনি কেউ, পাহাড় ধসের শঙ্কা
ঘূর্ণিঝড় রিমালঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় বান্দরবানে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। বান্দরবান ও লামা পৌরসভা, ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলার ৭ উপজেলায় ২১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বান্দরবানের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে কয়েক হাজার পরিবার। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে এ সকল ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়গুলোতে ধসের সৃষ্টি হলে ব্যাপক জানমালের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার ঝুঁকিপূর্ণস্থানে বসবাসকারী বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে বলা হলেও এখন পর্যন্ত কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়নি।
বান্দরবান পৌরসভার মেয়র শামসুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা মাঠে কাজ করছি। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে জেলার সাত উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় ২১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনা খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি যেকোন ধরনের দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিস ও রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুত ও জরুরি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।