এবার ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভার উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ ছাড়া থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। চলতি মাস জুলাইয়ের ১৩ দিনেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৭৩ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার ৪১টি হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৪৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪৪ জন। এরমধ্যে জানুয়ারিতে রোগী শনাক্ত হন ৩২ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৯ জন, মার্চে ১৩ জন, এপ্রিলে ৩ জন, মে মাসে ৪৩ জন, জুনে ২৭১ জন। জুলাইয়ের ১৩ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭৩ জন।
সংশ্লিষ্টরা বলছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার পর যাদের হেমোরেজিক বা শক সিনড্রোম দেখা যাচ্ছে না, বা যারা খুব দুর্বল হয়ে পড়ছেন না তারা পরীক্ষাও করাতে যাচ্ছেন না। ফলে অনেক রোগী থেকে যাচ্ছেন শনাক্তের বাইরে।
সরকারের রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) এক জরিপে দেখা গেছে, ২০১৯ সালে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ছিলেন শিশু, শিক্ষার্থী এবং কর্মজীবী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্যানুযায়ী ২০১৯ সালে আইইডিসিআর থেকে ডেঙ্গু সন্দেহে ২৭৬ জনের মৃত্যুর তথ্য আসে। বিশেষজ্ঞ পর্যালোচনায় এর মধ্যে ১৭৯ জনের ডেঙ্গুজনিত মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।