রংপুর বিভাগে একদিনে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৫১১ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় আক্রান্তের হার ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবু মো. জাকিরুল ইসলাম।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলার ৩, কুড়িগ্রামের ৩, নীলফামারীর ২, রংপুরের ২, পঞ্চগড় ও গাইবান্ধার ১ জন করে রয়েছেন।
বিভাগে ১ হাজার ৯৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের ৮৬, দিনাজপুরের ৮৪, রংপুরের ৮৩, নীলফামারীর ৮৩, পঞ্চগড়ের ৫৬, কুড়িগ্রামের ৫৬, গাইবান্ধার ৪৩ ও লালমনিরহাটের ২০ জন রয়েছে।
নতুন করে মারা যাওয়া ১২ জনসহ বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১১ জনে। এর মধ্যে দিনাজপুর জেলার ২৩৬ জন, রংপুরের ১৪২, ঠাকুরগাঁওয়ের ১৩৪, নীলফামারীর ৫০, লালমনিরহাটের ৪৩, কুড়িগ্রামের ৩৮, পঞ্চগড়ের ৩৪ ও গাইবান্ধার ৩৪ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪৩৩ জন।
এপর্যন্ত বিভাগে ৩৪ হাজার ৫২২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দিনাজপুুর জেলায় ১০ হাজার ৭০৯ জন, রংপুরের ৭ হাজার ৬২১ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৪ হাজার ৯৪৪ জন, গাইবান্ধার ২ হাজার ৮৮১ জন, নীলফামারীর ২ হাজার ৬৪৯ জন, কুড়িগ্রামের ২ হাজার ৫১৪ জন, লালমনিরহাটের ১ হাজার ৯১১ জন এবং পঞ্চগড়ের ১ হাজার ৮০৪ জন রয়েছেন।
রংপুর বিভাগে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ মেনে চলার বিকল্প নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।