দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যতই বাড়ছে তা ছড়িয়ে পড়ছে সব বয়সীদের মধ্যে। নবজাতক থেকে শুরু করে চার বছর বয়সী শিশুরাও উদ্বেগজনক হারে আক্রান্ত হতে শুরু করেছে।
আক্রান্তদের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১ জানুয়ারিও দেশে ০-৪ বছর বয়সের শিশু আক্রান্ত হয়েছিল মাত্র ২৩ জন। গত এপ্রিলে যখন সংক্রমণ দ্বিতীয় দফায় ওঠে তখন সবচেয়ে বেশি শিশু আক্রান্ত হয়েছিল ৯ এপ্রিল, ৮৩ জন। কিন্তু চলতি মাসে আড়াই গুণ বেড়ে গত ১২ জুলাই আক্রান্ত হয়েছিল ২১২টি শিশু।
এছাড়া গত দুই মাসে ১০ বছরের নিচের বয়সীদের দৈনিক মৃত্যু বেড়েছে ৯ শতাংশ এবং ১১-২০ বছর বয়সীদের বেড়েছে ৫৫ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন সময়ের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রথম ১৪ মাসে (১৩ মে পর্যন্ত) ১০ বছরের নিচের শিশুদের মৃত্যু হয়েছিল ৪৬ জনের, আর গত দুই মাসে এই বয়সী মারা গেছে ৯ জন। ১৪ মাসে ১১-২০ বছরের মারা যায় ৮০ জন, গত দুই মাসে মারা যায় ২৬ জন।
আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেছেন, সব বয়সের মানুষের মধ্যেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটছে এবং ঘটবে। শিশুদের মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়ায় না—এটা এখন পর্যন্ত কেউ বলেনি। বরং আমরা বরাবরই বলছি, যে পরিবারে শিশু ও বয়স্করা রয়েছে তাদের আক্রান্ত করার জন্য দায়ী অন্য বয়সীরা, যারা বাইরে গিয়ে সংক্রমণ ঘরে টেনে আনছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিশুরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. সাকিল আহম্মদ এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বলেছেন, কোলের শিশুরা তো আর নিজেরা বাইরে যেতে পারে না। হয়তো বড়রা তাদের অসতর্কভাবে বাইরে নিয়ে আক্রান্ত করেন অথবা নিজেরা আক্রান্ত হয়ে বাসায় ফিরে শিশুদের কাছে যাওয়ায় তারা আক্রান্ত হয়। যদিও শিশুদের করোনায় মৃত্যুহার একদমই কম। খুব জটিল কোনো সমস্যা না হলে শুধু করোনায় শিশুদের কারোর মৃত্যুর রেকর্ড নেই।