দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে আরও ২১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ হাজার ৪৬৭ জনে।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ সময়ে নতুন করে আরও ১৩ হাজার ৮৬২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর ফলে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২ লাখ ৪০ হাজার ১১৫ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে সরকারি ও বেসরকারি ৬৪৮টি ল্যাবরেটরিতে ৪৫ হাজার ৫৬৮টি নমুনা সংগ্রহ ও ৪৫ হাজার ৪৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ৭৭ লাখ ৯ হাজার ৯১৪টি। পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৭৭ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ০৮ শতাংশ।
মৃত ২১২ জনের মধ্যে পুরুষ ১১৯ ও নারী ৯৩ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৫৪, বেসরকারি হাসপাতালে ৪৮, বাড়িতে ৯ জন এবং একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৯৭৫ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৫ জন। সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৮১ শতাংশ।
মৃত ২১২ জনের মধ্যে শূন্য থেকে দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব ৫ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৫ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৫ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪৮ জন, ষাটোর্ধ্ব ৬৯ জন, সত্তোরোর্ধ্ব ৩২ জন, আশির্ধ্ব ১১ জন এবং নব্বই বছরের বেশি বয়সী ৬ জন মারা যান।
করোনায় মৃত ২১২ জনের মধ্যে বিভাগ হিসেবে দেখা যায়, ঢাকায় ৬৫ জন, চট্টগ্রামে ৫৩ জন, রাজশাহীতে ১৩ জন, খুলনায় ৩৬ জন, বরিশালে ১১ জন, সিলেটে ১৭ জন, রংপুরে ৯ জন এবং ময়মনসিংহে ৮ জনের মৃত্যু হয়।
দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।