'হামাক ঢাকা যাওয়ার ব্যবস্থা করি দেউক সরকার। ঈদের আগে বাড়িত আসি শুননো সব বন্ধ করি দিছে। এখন বলে খোলা। কাল অফিস থাকি ফোন করি কইছে, অফিস খোলা। না গেলে চাকরি থাকপার নয়। এখন হামারা কেমন করি যাই।' কথাগুলো বলছিলেন রংপুরে কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর এলাকার আফছার আলী।
শুধু আফছার আলী নয়, তার মতো অনেকে চাকরি বাঁচাতে কাজে যোগ দিতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রংপুরের মডার্ণ মোড়ে ভিড় করছেন। কিন্তু যাওয়ার মতো গাড়ি না পাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন। গণপরিবহন না থাকায় দীর্ঘ সময় ধরে তারা রাস্তার ধারে অপেক্ষায় রয়েছেন। এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে সড়কে অবস্থান নিয়ে গণপরিবহন চালুর দাবি জানিয়েছেন তারা।
শনিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে রংপুর নগরীর মডার্ণ মোড়ে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।
তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক রাকিবুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যর অফিস খুলি দিছেন ভাল কথা কিন্তু পরিবহন বন্ধ রাখছেন কেন? এখন হামরা পরিবারসহ কেমন করি যাই। না গেলে তো চাকরিও থাকবে না। হামার কথা কেউ চিন্তা করে না’
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার আসাদুজ্জামান পরিবারসহ ভোর থেকেই গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু কোন গাড়ি না পাওয়ায় যেতে পারছেন না। তিনি বলেন, 'একটি মাইক্রোবাস ঢাকা যাওয়ার জন্য ২৫ হাজার টাকা চাচ্ছে। এতো টাকা দিয়ে কেমন করি যাই। চাকরি বাঁচাতে এ ছাড়া কোন উপায়ও নাই। অফিস না করলে নাকি চাকরি থাকপের নয়।'
আরেক নারী শ্রমিক বিলকিছ বেগম বলেন, 'সরকার লকডাইনে গার্মেন্টস খুলি দিছে কিন্তু বাস বন্ধ করছে। এখন হামরা যাই কেমনে।'
মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ কমিশনার আলতাফ হোসেন বলেন, ‘শ্রমিকরা ঢাকা যাওয়ার জন্য সকাল থেকে সড়কে অপেক্ষা করছে। আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানেরর চেষ্টা করছি।