রেমিট্যান্স খাতের এতদিনের যে ‘জাদু’ সেটা সম্ভবত শেষ হতে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের কনভেনর ও বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য।
তিনি বলেছেন, অর্থনীতির সব থেকে শক্তিশালী জায়গা বৈদেশিক খাতে এখন এক ধরনের ভাঙন ধরেছে।
রোববার (৮ আগস্ট) নাগরিক প্ল্যাটফর্ম 'জাতীয় বাজেট ২০২১-২২ বাস্তবায়ন: পিছিয়ে পড়া মানুষেরা কীভাবে সুফল পাবে?' শীর্ষক সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও নাগরিক প্ল্যাটফর্মের চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল, সিপিডি’র সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানসহ বিশিষ্টজনরা।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগ পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থায় নেমে গেছে। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তা অর্জন করা সম্ভব হবে না। কোভিড পরিস্থিতির কারণে ৮০ শতাংশ মানুষ খাদ্য-ব্যয় কমিয়ে দিয়েছে।
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এবারে বাজেটে পিছিয়ে পড়া গরিব ও অসহায় মানুষদের বাইরে রাখা হয়েছে। বাজেটে বরাদ্দের কথা বলা হলেও কীভাবে তা ব্যয় হবে, সরকারি ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি কতটুকু থাকবে সে বিষয়টি দেখা যায়নি। এছাড়া দুর্নীতির প্রতিরোধে বাজেটে সুস্পষ্ট করে কিছু বলা নেই। আমি মনে করি, এ বছর বিব্রতকর, দুর্নীতিবান্ধব, বৈষম্যমূলক ও কালো টাকা সহায়ক বাজেট হয়েছে। কিন্তু পিছিয়ে পড়া মানুষকে কীভাবে সহায়তা করবে বাজেটে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেখতে পাই না।