রাজশাহীতে বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পদ্মা নদীর পানি। তারপরও রাজশাহী মহানগরীর নিচু দুটি এলাকা তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া জেলার গোদাগাড়ী, বাঘা ও পবা উপজেলার চরাঞ্চলে পানি ঢুকেছে।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গেজ রিডার এনামুল হক জানান, রোববার ভোর ৬টায় রাজশাহী মহানগরীর বড়কুঠি পয়েন্টে পদ্মার পানির উচ্চতা ছিল ১৭ দশমিক ৭৮ মিটার।
এর আগে শনিবার দুপুর ১২টায় পদ্মার পানির উচ্চতা পাওয়া গেছে ১৭ দশমিক ৮৫ মিটার। শুক্রবার ভোর ৬টা থেকেই পানির উচ্চতা একই আছে। অর্থাৎ পানি ৭ সেন্টিমিটার কমেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় পানির উচ্চতা ছিল ১৭ দশমিক ৮৩ মিটার। রাজশাহীতে পদ্মার পানির বিপৎসীমা ১৮ দশমিক ৫০ মিটার। বর্তমানে পানি বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার নিচেই আছে।
তবে এখনই রাজশাহী মহানগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তালাইমারী শহিদ মিনার, পঞ্চবটি ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীরামপুর এলাকায় পদ্মার তীর সংলগ্ন নিচু এলাকাগুলোতে পানি উঠে গেছে। শুধু ২৪ নম্বর ওয়ার্ডেরই প্রায় দুই হাজার বাড়িতে পানি ঢুকেছে। ঝুঁকিতে পড়েছে শ্রীরামপুর টি-গ্রোয়েন। পরিস্থিতি সামলাতে সেখানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছে রাজশাহী পাউবো।
রাজশাহী পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রিফাত করিম জানান, ঝুঁকিপূর্ণ টি-গ্রোয়েন ও এর আশপাশে মোট ১৬ হাজার বালুর বস্তা ফেলা হবে। ইতোমধ্যে ১৪ হাজারের বেশি বস্তা ফেলা হয়েছে।
তিনি জানান, রাজশাহী শহরের পদ্মাপাড়ের নিচু দু’একটি মহল্লায় পানি ঢুকেছে। তবে গোদাগাড়ী, পবা ও বাঘায় পদ্মার ওপারের চরাঞ্চলে পানি ঢুকেছে। এসব চরে অনেক পরিবার পানিবন্দী রয়েছে।