ওজন ও পরিমাপে কম দিলে জেল জরিমানার বিধান রেখে ‘ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড বিল-২০১৮’ পাস হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বিলের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, আমদানি পণ্যের ক্ষেত্রে ওজন ও পরিমাপের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে। একটি স্ট্যান্ডার্ড ওজন ও পরিমাপ সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। এর আগের অধ্যাদেশে ৬৫টি ধারা ছিল। বর্তমান বিলটিতে আটটি ধারা বাড়িয়ে ৭৩টি করা করা হয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু গত ১২ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন। পরে তা ১৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। ১৯৮২ সালের ‘স্ট্যান্ডার্ড অব ওয়েট অ্যান্ড মেজার্স অর্ডিন্যান্স’ সংশোধন ও পরিমার্জন করে ২০০১ সালে নতুনভাবে প্রণীত হয়েছিল। এবার সেটি আবারও সংশোধন করা হলো।
বিলে অনুমোদনহীন বাটখারা উৎপাদন, ব্যবহার ও ওজনে অনিয়মের সাজা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। মানদণ্ডহীন বাটখারা ব্যবহারের শাস্তি অনূর্ধ্ব এক বছরের কারাদণ্ডের সঙ্গে অর্থদণ্ড বাড়িয়ে এক লাখ টাকা করা হয়েছে।
এ আইন অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি যদি ওজন সম্পর্কিত মডেল অনুমোদনের সনদ ছাড়া তা বিক্রি, বিতরণ, সরবরাহের জন্য তৈরি করেন তাহলে দুই বছরের কারাদণ্ড বা একলাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
ইমারত তৈরি বা মেরামতে ঘোষিত পরিমাপ লঙ্ঘন করলে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানারও বিধান রাখা হয়েছে এ আইনে।
অনুমোদন বহির্ভূত বস্তু দ্বারা ওজন পরিমাপন তৈরি বা উৎপাদন করলে এক লাখ টাকা বা তিন বছরের কারাণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। মানদণ্ড ব্যতীত অন্য কোনও ওজন বা পরিমাপন ব্যবহার করলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে বিধান রাখা হয়েছে।
এছাড়া, আন্তর্জাতিক মান সংস্থাসহ (আইএসও) অন্য সংস্থাগুলোর নিয়মকানুন এ আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মানদণ্ড একক ছাড়া মুখের ভাষায় বা ভিন্নভাবে মূল্য বা চার্জ ঘোষণা করা যাবে না বলেও বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া নিবন্ধন সনদ ছাড়া মোড়কজাত পণ্য উৎপাদন, বিপণন ও বিক্রয় এবং এলপিজি, এলএনজি বটলিং, টার্মিনাল, ফিলিং স্টেশন পরিচালনা করলে এক বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে বিলে।