ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে যাত্রীবোঝাই নৌকাডুবির ঘটনায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করে শনিবার সকাল পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ২২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (২৮ আগস্ট) বিকালে ডুবুরিদের সর্বশেষ তল্লাশির পর উদ্ধার কাজ সমাপ্ত ঘোষণা করেন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাবেয়া আফসার সায়মা।
তিনি জানান, দিনভর উদ্ধার কাজ চালিয়েছে ডুবুরি দল। বিকেলে ডুবে যাওয়া নৌকার তলদেশে ডুবুরিরা সর্বশেষ তল্লাশি চালায়। সেখানে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। পরে নৌকাটি নিরাপদ স্থানে রাখার পর উদ্ধার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
এদিকে শনিবার নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি। এর আগে শুক্রবার বিকেল সোয়া ৫টায় উপজেলার লইছকা বিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন জানান, মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জেলা সদর হাসপাতালে মরদেহগুলো আনার পর স্বজনরা শনাক্ত করে। হস্তান্তরের সময় মরদেহ দাফন-কাফনের জন্য প্রত্যেক পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় জেলার বিজয়নগরের চম্পকনগর নৌকাঘাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকাটি জেলা সদর উপজেলার আনন্দবাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে লইস্কা বিল এলাকায় বিপরীত দিকে থেকে আসা একটি বালুবোঝাই ট্রলারের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে যাত্রীবোঝাই নৌকাটি ডুবে যায়। প্রথমে এলাকাবাসী উদ্ধার কাজ শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে। পরে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে।