রংপুরে স্বামীর বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে অপহরণের পর গুম করে হত্যার অভিযোগ উঠলেও মিঠু মোল্লা নামে অন্য এক যুবক প্রলোভন দেখিয়ে ওই গৃহবধূকে অপহরণ ও ধর্ষণ করেন। পুলিশি তদন্তে এসব তথ্য উঠে আসার পর গুম হওয়া ওই গৃহবধূকে গাজীপুর থেকে উদ্ধার করা হয়।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মূল আসামি মিঠু মোল্লাকে গ্রেফতার দেখিয়ে হাজিরহাট চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে নেওয়া হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেফতার মিঠু মোল্লা (২৬) পাবনার চাটমোহর এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।
রংপুর পিবিআই'র পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পিবিআই সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ আগস্ট রংপুর সদরের আমিনুর ইসলামের স্ত্রী হানিফা বেগম আদালতে তাঁর জামাতার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তাঁর মেয়েকে হত্যার উদ্দেশে রংপুর মেট্রোপলিটন হাজিরহাট থানা এলাকার বাসিন্দা স্বামী মানিক মিয়া অপহরণ করে গুম করেছে বলে জানান। আদালত মামলাটির তদন্ত করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
পরে রংপুর পবিআিই'র একটি দল ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে কথিত গুম হয়ে যাওয়া ওই গৃহবধূকে শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার জসুমন ব্যাপারী'র বাসা থেকে উদ্ধার করেন। এসময় অপহরণের সাথে জড়িত মিঠু মোল্লাকে (২৬) গ্রেফতার করা হয়।
রংপুর পিবিআই'র পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন জানান, অপহৃত ওই গৃহবধূ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে বলেছেন, তাঁকে ভুল বুঝিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে মিঠু মোল্লা অপহরণ করে ২৪ দিন পাবনা ও গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে। আদালতে তিনি স্বামীর কাছে যেতে চাইলে আদালতের বিচারক তাকে স্বামীর হেফাজতে দেন এবং সেই সঙ্গে স্বামী মানিক মিয়াকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন।