ঢাকার আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বার্তা২৪.কমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ।
এর আগে সোমবার (০৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়া থানায় মনোরঞ্জন রাজবংশীসহ সঙ্গীয় ভুক্তভোগী ৬ জন মিলে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো রোববার (০৫ সেপ্টেম্বর) মনোরঞ্জন রাজবংশী রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার শুভ জুয়েলার্স নামে দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যান। অন্যান্য জুয়েলার্সের মালিকরা রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাসায় চলে যায়। প্রতি দিনের মতো সেদিনও সিকিউরিটি গার্ডরা বাজার পাহারা দিচ্ছিলো। তবে রাত দেড়টার দিকে বংশী নদী দিয়ে স্পিডবোট ও ট্রলারে করে ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি ডাকাত দল রাইফেল, রাম দা, হাইড্রোলিক কাটার, সেলাই রেঞ্জ, লোহার রড নিয়ে বাজারে প্রবেশ করে। এসময় সিকিউরিটি গার্ডদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পিঠমোড়া দিয়ে বেঁধে মজিদের মুদি দোকানের মধ্যে ফেলে রাখে। পরে ১৭টি স্বর্ণের দোকানে হানা দিয়ে ১২৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, যার আনুমানিক মূল্য ৭৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ৯১২ ভরি রূপা যার আনুমানিক মূল্য ৯ লাখ ১২ হাজারসহ নগদ ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা।
খবর পেয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা সোমবার (০৬ সেপ্টেম্বর) সকালেই ঘটনাস্থল আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারে ভিড় জমায়। এসময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন মনোরঞ্জন রাজবংশী।
এ ব্যাপারে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার জানান, ডাকাতির ঘটনা জানার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছে। এ ব্যাপারে ঘটনা উদঘাটন, মামলার জোড়ালো তদন্ত ও তাদের গ্রেফতার করতে যে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তার সবই দ্রুতই নেওয়া হচ্ছে।