চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় কাজ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৮ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই নারী বাদি হয়ে আলমডাঙ্গায় থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর দুপুরের দিকে ওই নারীকে আসমানখালী বাজারের একটি বাড়িতে নিয়ে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ মামলার প্রধান আসামি মুলাম হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার শালিকা গ্রামের আবু ছদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, উপজেলার রুইতনপুর গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারীর পার্শ্ববর্তী আসমানখালী গ্রামের মিজানুর রহমান কলুর কাছে একটি কাজ ঠিক করে দিতে অনুরোধ করেন। মিজানুর রহমান কলু কাজ ঠিক করে দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে আসমানখালী বাজারে আসতে বলে। গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই নারী আসমানখালী বাজারে মিজানুর রহমান কলুর সাথে দেখা করেন। এ সময় কলুর সাথে থাকা পার্শ্ববর্তী শালিকা গ্রামের মুলাম হোসেন একটি কাজ ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে। পরে ওই নারীকে বাজারের দোতলা ভবনের কক্ষে নিয়ে যায় তারা।
এরপর শালিকা গ্রামের আবু ছদ্দিনের ছেলে মুলাম হোসেন (৫০), বন্দরভিটা গ্রামের মৃত সেন্টুর ছেলে রিপন ওরফে লিপন (৩৫), শালিকা গ্রামের বারেক আলীর ছেলে হাসান (৪০), জসিম উদ্দিনের ছেলে নাজিরুল (২৫), মহেশপুর গ্রামের মৃত তপেল বিশ্বসের ছেলে হাবু (৪২) ও নান্দবার গ্রামের মান্নানের ছেলে হামিদুল (৩৪) মিজানুর কলুর সাথে যোগ দেয়। ওই নারী আসবে নিশ্চিত হয়ে কলু আগে থেকেই এদেরকে মোবাইলে ডেকে নেয়।
এরপর তারা পর্যায়ক্রমে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তারা ধর্ষণ শেষে তাকে বিকেলের দিকে ওই কক্ষে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে ওই নারী সেখান থেকে বাড়িতে চলে যান। বাড়ি যাওয়ার পথে অভিযুক্ত মিজান ও রিপন ওই নারীকে টাকা দিতে চায়। এসময় ওই নারী টাকা নিতে না চাইলে তাকে দেখে নিতে হুমকি ধামকি দেওয়া হয়। ঘটনা জানাজানি না করতেও হুমকি দেয়া হয়।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর জানান, বুধবার রাতে ওই নারী আলমডাঙ্গা থানায় এসে ৭ জনকে আসামী ও আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত করে মামলা দায়ের করেন। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১নং আসামী মুলামকে গ্রেফতার করেন। বৃহস্পতিবার ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হবে। আসামী মুলামকেও আদালতে পাঠানো হবে।