পার্কে বেড়াতে আসা লোকজনকে হয়রানী ও চাঁদাবাজীর অভিযোগে বগুড়া সদর থানার দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ।
যাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে তারা হলেন- বগুড়া সদর থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবাদুল্লাহ আল মোস্তফা ও কনস্টেবল (ড্রাইভার) মাহিদুর রহমান।
এর আগে শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে পুলিশ সুপারের আদেশে তাদেরকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে বগুড়া পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শুক্রবার রাত ৯ টার পরে এএসআই মোস্তফা ও ড্রাইভার কনস্টেবল মাহিদুর মটর সাইকেল যোগে থানা থেকে ৭ কিলোমিটার দুরে মম ইন ইকো পার্কে যান। সাদা পোশাকে থাকা দুই পুলিশ পার্কে মোটর সাইকেল নিয়ে বেড়াতে আসা লোকজনকে বিভিন্নভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে হয়রানি করতে থাকেন। রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তিনজন আরোহীসহ একটি মটর সাইকেল আটক করে দুই হাজার টাকা দাবী করেন তারা। এনিয়ে মোটরসাইকেল আরোহীদের সাথে দুই পুলিশের তর্ক বিতর্ক শুরু হয়। এক পর্যায় অন্যান্য লোকজন দুই পুলিশ সদস্যকে ঘেরাও করে। খবর পেয়ে মম ইন ইকো পার্কের কর্মকর্তাগণ এসে দুই পুলিশ সদস্যের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাদেরকে থানায় পাঠিয়ে দেন। পরে বিষয়টি পুলিশেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে রাতেই তাদেরকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
প্রত্যাহার হওয়া এএসআই আব্দুল্লাহ আল মোস্তফা বলেন, তারা মোটরসাইকেলযোগে মম ইন ইকো পার্কের ভিতর দিয়ে পল্লী মঙ্গল যাচ্ছিলেন। পার্কের মধ্যে তিনজন আরোহীসহ একটি মোটরসাইকেলের গতিবিধি সন্দেহ জনক মনে হয়। এসময় তাদেরকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। এমন সময় কিছু লোকজন আমাদেরকে চিনতে না পেরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। পরে পরিচয় দেয়া হলে তারা চলে যায় এবং মোটরসাইকেল আরোহী তিনজনকেও ছেড়ে দেয়া হয়।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ বলেন, ডিউটির বাহিরে কাউকে না জানিয়ে তারা মম ইন পার্কে যায়। সেখান থেকে একটি অভিযোগ আসায় দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অভিযোগটির সত্যতার বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।