বগুড়ার নন্দীগ্রামে পালিত সন্তান নিয়ে বিরোধের জের ধরে শামিমা আক্তার (২৪) নামে এক নারী আত্মহত্যা করেছেন।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে নিজ ঘর থেকে শামিমার মরদেহ উদ্ধার করেছে।
শামিমা নন্দীগ্রাম উপজেলার সোনাপুকুরিয়া গ্রামের আজিজুল হকের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, তিন মাস আগে একই গ্রামের রেহেনা নামের এক নারীর তিন মাস বয়সী ছেলে সন্তান আব্দুল্লাহকে পালিত হিসেবে গ্রহন করেন শামিমা। রেহেনা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ার তার সন্তানকে দেওয়ার পাশাপাশি সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ ৩০ হাজার টাকা শামিমাকে দেয়। তিন মাস পর আব্দুল্লাহকে লালন পালন করতে পারবে না বলে শামিমা জানিয়ে দেয়। এতে রেহেনা ৩০ হাজার টাকাসহ আব্দুল্লাহকে ফেরত চায়। কিন্তু শামিমা টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রেহেনার বোন সফুরা শামিমার বাড়িতে গিয়ে টাকাসহ সন্তান ফেরত চায়। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। রাতে শামিমা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরদিন সকালে জানাজানি হলে রেহেনার পরিবারের লোকজন শামিমার বাড়ি থেকে আব্দুল্লাহকে নিয়ে চলে যায়।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।