রাষ্ট্রীয় সম্পদ টিলা থেকে প্রায় ২৫১ কোটি ৫২ লাখ টাকার ৬২ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫০ ঘনফুট সরকারি পাথর অবৈধভাবে উত্তোলন করে তা বিক্রি করে দিয়েছে ইজারাদার।
সিলেট জেলাধীন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার অর্ন্তগত চিকাঢুরা মৌজার শাহ আরেফিন নামের টিলা থেকে ওই পাথর লুটপাটের অভিযোগে ইজারাদার মেসার্স বশির কোম্পানির মালিক মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাতে সিলেটের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) দুদকের জনসংযোগ দফতর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো থেকে ১০ শর্তে সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার অর্ন্তগত চিকাঢুরা মৌজায় শাহ আরেফিন টিলার ২৫ হেক্টর বা ৬১ একর এলাকা হতে সাধারণ পাথর উত্তোলনের জন্য ২০০৫ সালের ৫ এপ্রিল এক বছরের জন্য মেসার্স বশির কোম্পানি পাথর কোয়ারিটি ইজারা পায়। কিন্তু ইজারাদার মেসার্স বশির কোম্পানির মালিক মোহাম্মদ আলী শর্ত ভঙ্গ করে পাথর উত্তোলন করায় খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু আদেশ অমান্য করে পাথর উত্তোলন অব্যাহত রাখেন ওই ইজারাদার। পাথর উত্তোলনের জন্য ৬১ একর এলাকায় অনুমোদন পেলেও তিনি ১৩৭.৫০ একর জুড়ে অবস্থিত সম্পূর্ণ টিলা থেকে পাথর উত্তোলন করেন। অনুসরণ করেননি পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা। অথচ পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণের বাধ্যবাধকতা ছিল।
তাই মামলায় তার বিরুদ্ধে পাথর উত্তোলন করে পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছে। একই সঙ্গে টিলার ২৫ হেক্টর বা ৬১ একর পাথর উত্তোলনের জন্য ইজারা গ্রহণ করে ১৩৭.৫০ একর জুড়ে অবস্থিত সম্পূর্ণ টিলা থেকে ২৫১ কোটি ৫৫ লাখ ৯০ হাজার টাকার ৬২ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫০ ঘনফুট পাথর অবৈধ উপায়ে উত্তোলন করে নিয়ে সরকারি সম্পদের ক্ষতিসাধন করেছেন আসামি মোহাম্মদ আলী। তাই তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০ ও ৪০৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।