গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌরসভা বাস্তবায়নকালে সৃষ্টি হয়েছিল সীমানা জটিলতা। এর প্রভাবে প্রায় ১৮ বছর ধরে স্থগিত রয়েছে দুইটি ইউপি’র নির্বাচন। ইতোমধ্যে পৌরসভা বাস্তবায়ন করা হলেও আসন্ন নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে তফসীল ঘোষণা করা হয়নি স্থগিত হওয়া দুই ইউনিয়নে। এদিকে ইউনিয়ন দুইটিতে নির্বাচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবার) রাত ৮টার দিকে পলাশবাড়ী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে তৃতীয় ধাপে তফশীল বঞ্চিত কিশোরগাড়ী ও বরিশাল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলার বঞ্চিত ওই দুই ইউনিয়নের দলীয় ও স্বতন্ত্র সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সমন্বয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের পক্ষে কিশোরগাড়ী ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মাহাবুব প্রধান লিখিত বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা গঠিত। ইতোপূর্বে পৌরসভা বাস্তবায়নে সীমানা জটিলতার কারণে কিশোরগাড়ী, পলাশবাড়ী ও বরিশাল ইউপি’র নির্বাচন স্থগিত করা হয়। গত ২০০৩ সালে পলাশবাড়ীর ৯টি ইউনিয়নে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
কিন্তু সীমানা জটিলতাসহ নানা কারণে উপরোক্ত তিনটি ইউনিয়ন দীর্ঘ ১৮ বছর নির্বাচন বঞ্চিত হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ১৯ গ্রাম, কিশোরগাড়ীর ৪ গ্রাম এবং বরিশাল ইউনিয়নের একটিসহ ২৪টি গ্রাম নিয়ে ২০২১ সালে পলাশবাড়ী পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পৌরসভা নির্বাচন পরবর্তী ভৌগলিক দিক থেকে সীমানা জটিলতা আপাততঃ নিরসন হয়। এতে কিশোরগাড়ী ও বরিশাল ইউনিয়ন নির্বাচনে আর কোন বাধা থাকার কথা নয়।
দেশে চলমান ইউপি নির্বাচন তফশীল ঘোষণার ধারাবাহিকতার তৃতীয় ধাপে উপজেলার ৮ ইউনিয়ন তফশীল ঘোষণার অপেক্ষায় অপেক্ষমান থাকলেও অজ্ঞাত কারণে আবারো ওই দুইটি ইউনিয়ন বঞ্চিত করে ৬টি ইউপি’র তফশীল ঘোষণা করা হয়। সর্বোপরি ঘোষিত নির্বাচন তফশীল থেকে কিশোরগাড়ী ও বরিশাল ইউনিয়নের নাম বাদপড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রার্থী-ভোটারসহ এলাকার সর্বস্তরের সচেতন জনমনে বিষয়টি চরম অসন্তোষের সৃষ্টি করেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে বঞ্চিত ইউনিয়ন দুইটির নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রয়োজনীয় কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের যথাযথ হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে কিশোরগাড়ী ইউপি’র সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেন লিটন, এনামুল হক, সাজু প্রামানিক এবং বরিশাল ইউপি’র জাপা’র সম্ভাব্য প্রার্থী এম.এ হালিম সরকার ও আবুল হোসেন ছাড়াও এ দুই ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সম্ভাব্য ইউপি সদস্য প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।