কৃষকলীগ নেতার মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে ফেললেন নৌকার সমর্থকরা

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে এক স্বতন্ত্র প্রার্থী (কৃষকলীগ নেতা) মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে স্থানীয় নির্বাচন অফিসের সামনে থেকে তার মনোনয়নপত্র কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, মিরসরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়াম্যান পদে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ইউনিয়নের কিছমত জাফরাবাদ গ্রামের মৃত শফিউল আলমের ছেলে মেজবাউল আলম। তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি। শনিবার বিকালে তিনি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে কয়েকজন সন্ত্রাসী তার হাত থেকে মনোনয়নপত্র কেড়ে নিয়ে তা প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলে দেয়। এরপর তাকে বেধড়ক মারধর করে। পরে তিনি মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (মাস্তান নগর হাসপাতাল) প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মেজবাউল আলম বলেন, ‘আমি মনোনয়নপত্র জামা দিতে গেলে ৯ নম্বর সদর ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামসুল আলম দিদারের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীরা নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসের সামনে থেকে আমার মনোনয়নপত্র কেড়ে নেয় এবং প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলে দেয়। এরপর আমাকে পিটিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পরে আমি মাস্তান নগর হাসপাতালে চিকিৎসা নিই।’

এ বিষয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কোনো দপ্তরে অথবা থানায় তিনি কোন অভিযোগ দিয়েছেন কি না জানতে চাওয়া হলে মেজবাউল আলম বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং মিরসরাই থানায় অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

মিরসরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং অফিসার মো. ফারুক হোছাইন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা সম্পর্কে প্রার্থী কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। নির্বাচন অফিসের বাইরে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আমাদের কিছু করার নেই। তবে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, ‘এ ধরনের একটি ঘটনা আমি শুনেছি। তবে নির্বাচন কর্মকর্তা জানিয়েছেন এ ধরনের কোন অভিযোগ তিনি পাননি। আমরা থানায় অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত করে দেখবো।’

প্রসঙ্গত, আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের তফসীল অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মিরসরাই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। এ ইউপিতে সরকারসমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের বিপরীতে বিএনপি সমর্থিতরা না থাকলেও মনোনয়ন বঞ্চিতরা একের পর এক প্রার্থীতা দিচ্ছে। তারই ধারাবাকিতায় স্থানীয় কৃষকলীগের সভাপতি মেজবাউল আলম স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান।