ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেছেন, কুমিল্লায় যারা কোরআন অবমাননা ও পূজামণ্ডপ ভাঙচুর করেছে তারা হিন্দুও নয়, মুসলমানও নয়। এই দুষ্কৃতিকারীদের পরিচয় ওরা সন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্ত। সন্ত্রাসীদেরকে দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। যারা ধর্মের নামে দুর্বৃত্তায়ন ঘটায়, তাদের রুখে দিতে হবে।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননা ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন ঢাবি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। এ সময় তাঁরা স্থানীয়দের সঙ্গে ঘটনার বিষয়ে কথা বলেন। ঢাবি শিক্ষক সমিতির এই পরিদর্শন দলে ২২ জন শিক্ষক ছিলেন।
তাঁরা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এখন সমৃদ্ধির পথে। এই প্রধানমন্ত্রীর সময়ে এমন ঘটনা ঘটে গেছে, আমরা এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না। সঠিক অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। তাছাড়া এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষতিগ্রস্ত সকলকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। আগামী ২৪ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এসব ঘটনার প্রতিকার ও দোষীদের শাস্তি দাবি করে স্মারকলিপি দেবে ঢাবি শিক্ষক সমিতি।
পরিদর্শনকালে বক্তব্য রাখেন, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী, ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের অধ্যাপক শফিউল আলম ভূঁইয়া, সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.আবদুর রহিম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. রোবায়েত ফেরদৌস, শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. লফিফা জামাল, সমিতির সদস্য অধ্যাপক ড.চন্দ্রনাথ পোদ্দার, অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান ও কুমিল্লার গবেষক আহসানুল কবির।
কুমিল্লার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঢাবি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ নোয়াখালীর চৌমুহনীর ঘটনাস্থল পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে রওনা করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর সকালে কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘিরপাড়ের পূজামণ্ডপে ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন শরিফ পাওয়ার অভিযোগ উঠে। এনিয়ে কুমিল্লা নগরীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত কুমিল্লার এই ঘটনায় ৪৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।