করোনা পরিস্থিতির উন্নতির পরও বেতন কাটা অব্যাহত রাখায় বাড়তি সময় ফ্লাইট পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলটরা। এতে শিডিউল বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) সভাপতি মাহবুবুর রহমান জানান, মহামাররিকালে বিমানে সবার বেতন কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছিল; দুই মাসেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় পাইলটরা এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাদের সঙ্গে বিমানের যে চুক্তি, সেটার বাইরে তারা কোনো কাজ করবে না।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে বর্তমানে উড়োজাহাজ আছে ২১টি। এর মধ্যে ১৬টি নিজস্ব, পাঁচটি লিজ। বিমানে বর্তমানে ১৫৭ জন পাইলট কাজ করছেন। করোনা মহামারি শুরুর পর যাত্রীবাহী ফ্লাইট বন্ধ হওয়ায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ কর্মীদের বেতন কমিয়ে আনে। ২০২০ সালের মে মাস থেকে পাইলটদের বেতন ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কাটা হচ্ছে।
তিন মাস আগে পাইলটরা ধর্মঘটের হুমকি দিলেও বিমান কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে আন্দোলনে যাননি। পরে ১৪ জুলাই বিমান কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছিলেন পাইলটরা। ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে বিমানের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীর মতো বেতন সমন্বয় করতে অনুরোধ করেন তারা। বেতন সমন্বয় না করলে পাইলটরা বিমান ও বাপার মধ্যে সম্পাদিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুসারে ফ্লাইট পরিচালনা করবেন বলেও ঘোষণা দেয় বিমানের পাইলটদের সংগঠন বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা)।
বাপা সভাপতি মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা একাধিকবার বেতন কাটার বিষয়ে বিমান ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, বোর্ড মিটিংয়ে এ বিষয়টির সমাধান হবে। কয়েক মাসেও বিষয়টি সমাধান হয়নি। এখনো বেতন কাটায় পাইলটরা ক্ষুব্ধ। তাঁরা যদি এখন বিমান ও বাপার মধ্যে সম্পাদিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তির বাইরে ফ্লাইটে না যায়, তাতে তো বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই।
পাইলটরা জানান, বিমান ও বাপার মধ্যে সম্পাদিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী পাইলটদের মাসে ৭৫ ঘণ্টা ফ্লাই করার কথা এবং মাসে আট দিন ছুটি পাওয়ার কথা।
এদিকে পাইলটদের কর্মবিরতিতে ফ্লাইট চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। দোহাগামী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়ে ছাড়া সম্ভব হয়নি, তবে রাত সাড়ে ৯টার সময় পুনর্নির্ধারিত হয়েছে। দুবাইগামী ফ্লাইটটি রাত সোয়া ৮টায় ছেড়ে গেছে।