পরিবেশ রক্ষার কাজে তরুণদের আগ্রহ বাড়ছে: রিজওয়ানা হাসান
পরিবেশ রক্ষার কাজে তরুণদের আগ্রহ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেছেন, আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ গুলা কিন্তু আপনারাই (তরুণরা) মোকাবেলা করবেন। আমরা যে ভুলগুলো করেছি যার ফলে আপনারা একটা বিপর্যস্ত পরিবেশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন আপনারা যখন নেতৃত্বে আসবেন তখন আপনারাই ডেভেলপমেন্ট মডেল টা কে নতুন করে ভাববেন।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে ‘এনভায়রনমেন্ট ও ইনোভেশন সামিট ও অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমি আনন্দিত, এই কারণে যে উদ্যোগ নিয়ে এমন একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এখানে শত শত তরুণ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। এটার মানে হচ্ছে পরিবেশের কাজে তরুণদের আগ্রহ বাড়ছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত সুসংবাদ। কারণ আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ গুলা কিন্তু আপনারাই মোকাবেলা করবেন। আমরা যে ভুলগুলো করেছি যার ফলে আপনারা একটা বিপর্যস্ত পরিবেশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন আপনারা যখন নেতৃত্বে আসবেন তখন আপনারাই ডেভেলপমেন্ট মডেল টা কে নতুন করে ভাববেন। যাতে সেটা প্রকৃতিকে সম্মান করে এবং প্রকৃতিকেই কেন্দ্রবিন্দু করে রেখেই উন্নয়নটা পরিচালিত হয়। এটা জাতির জন্য সুসংবাদ। এতজন তরুণ-তরুণী শিক্ষার্থী এদেরকে পরিবেশের কাজ করার জন্য প্রস্তুত করছেন।
তিনি আরও বলেন, আজকে আপনারা যে দূষণের মধ্যে বাস করছেন সেই দূষণ একটা মাত্র বিপর্যয়। যখন জলবায়ু পরিবর্তন হবে এবং আপনার ভূখণ্ডের এক-তৃতীয়াংশ আপনি হারিয়ে ফেলবেন তখন বাকি দুই তৃতীয়াংশে আপনি কেমন করে বাঁচবেন এজন্য আপনাকে উদ্ভাবক অবশ্যই হতে হবে। আমাদের উপকূলীয় জেলায় যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে লবণাক্ততা বাড়ছে সেখানে কম খরচে পানিকে লবণ মুক্ত করে একটা রেশনিং এর মাধ্যমে অনেকটা বিজ্ঞানসম্মত ভাবে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এগুলো তরুণরাই করছেন। সবচেয়ে বড় আজকে গণতন্ত্রের পথে যাওয়ার জন্য একটা ভিত্তি তৈরি হয়েছে এটাও তরুণদের কারণে হয়েছে। তরুণদের মাঝে যেমন সাহসিকতা আছে তেমন নতুন কিছু করার ইচ্ছা আছে সৃজনশীলতাও আছে।
ভবন নির্মাণের নানা দিকের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বলেন, আমি যেখানেই যাই সেখানেই চতুর্দিকে রোদ কিন্তু তারপরেও দেখা যায় বিল্ডিং এর ভেতরে অনেক আলো জ্বালিয়ে রাখে। শীতের সকাল তার পরেও এসি চালিয়ে রাখে। আপনারা উদ্ভাবক হিসেবে ভাবতে পারেন কেমন করে বিল্ডিং গুলোকে এমনভাবে ডিজাইন করব যেখানে ভেন্টিলেশন আলো আসবে। যেখানে এসির প্রয়োজন হবেই না, পানি সাশ্রয় হবে এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবে। আপনারা অবশ্যই ভাবতে পারেন ঢাকা শহরে ট্রাফিক কনজাকশন কেমন করে ডেভেলপমেন্ট করা যায়। কেমন করে পাবলিক ট্রান্সমিশনকে স্মার্ট করা যায়। এগুলো সবই আপনাদেরকে ভাবতে হবে। ফলে তরুণদের এখানে করার মতন অনেক কিছুই আছে। আমরা তরুণদেরকে সম্পৃক্ত করেছি সিঙ্গেল ইউজ পলিথিনের বিরুদ্ধে প্রচার অভিযানে। আমরা তরুণদের শব্দ দূষণের বিরুদ্ধে প্রচার অভিযান ও ক্যাম্পেইনে সম্পৃক্ত করেছি। পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে আমাদের তরুণদেরকে ভাবতে হবে। তরুণদের ভাবনার যথেষ্ট পরিমাণ ক্ষমতা আছে।