আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে দশ ইঞ্চির কম ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে দশ ইঞ্চির নিচে ইলিশের বাচ্চা ধরা হলে জাটকা ধরার অভিযোগে দণ্ডিত হবেন। বিক্রয়-বিপণন ও সংরক্ষণের জন্যও সাজা পাবেন আড়তদার এবং ব্যবসায়ী। গতকাল ১ নভেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞাটি শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশের মৎস্য আইন অনুযায়ী, এতদিন জাটকার আকার ছিল নয় ইঞ্চি। কিন্তু সম্প্রতি সে আকার এক ইঞ্চি বাড়ানো হয়েছে। এখন জাটকা বলতে বোঝানো হবে দশ ইঞ্চি মাপের বাচ্চা ইলিশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখ থেকে লেজ পর্যন্ত ইলিশের এই মাপ হিসাব করা হয়। সাধারণত ১০ ইঞ্চি আকারের একটি ইলিশের বয়স ধারণা করা হয় ৮-৯ মাস। কিন্তু পূর্ণবয়স্ক ইলিশে পরিণত না হলে সে মাছ প্রজনন প্রক্রিয়া শুরু করবে না, অর্থাৎ ডিম ছাড়া ও বাচ্চা ফোটানোর জন্য ইলিশের একটি নির্দিষ্ট বয়স লাগে।
মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক আনিসুর রহমান তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেছেন, এই সময়ের মধ্যে দশ ইঞ্চির ছোট সকল ইলিশ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, বিনিময় ও মজুত আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ সময় নদীতে ব্যবহারের জন্য জেলেদের জালের ব্যাস বা ফাঁসের গিঁঠের দূরত্ব সাড়ে পাঁচ সেন্টিমিটারের চাইতে কম হলে জেল-জরিমানার বিধান আছে আইনে।
তিনি বলেন, এ সময় মৎস্য অধিদপ্তর স্থানীয় প্রশাসনকে নিয়ে জেলেদের মধ্যে জাটকা না ধরার উপকারিতা সম্পর্কে গণসচেতনতা চালানো হবে। সেই সাথে স্থানীয় প্রশাসন, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ ও মৎস্য বিভাগ মিলে সমন্বিত অভিযান চালানো হবে। এ সময়ে নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হবে।
এর আগে ৪ঠা থেকে ২৫ শে অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মা ইলিশ সংরক্ষণে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল সরকার। তার আগে পয়লা মার্চ থেকে ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত দুইমাস ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল।