‘ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচারে বাংলাদেশ-ভারত সমস্যার সমাধান করতে হবে’

, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-24 06:22:34

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বৃহত্তর আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, শান্তি, উপমহাদেশের উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কেবল দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের জন্য নয়।

ভারতের সাথে দ্বিপাক্ষিক সমস্যা ন্যায্যতা এবং ন্যায়বিচারের মাধ্যমে বন্ধুত্বপূর্ণভাবে সমাধান করা দরকার।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বুধবার (১ ডিসেম্বর) সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত অংশীদারিত্বের ৫০ বছর: ‘পরবর্তী ৫০ বছরে যাত্রার দিকে শীর্ষক’ সংলাপে এ-সব কথা বলেন।’

তিনি বলেন, ‘গত ৫০ বছর সাক্ষ্য, যথেষ্ট প্রমাণ সহ, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কেবল দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব ও শান্তির জন্যই নয়, বৃহত্তর আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং উপমহাদেশের উন্নয়নের জন্যও কতটা গুরুত্বপূর্ণ।’

তিস্তা নদীর অববাহিকার উপর নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষের ভোগান্তি লাঘব এবং জীবিকা বাঁচাতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১১ সালের খসড়া চুক্তির ভিত্তিতে বাংলাদেশকে তিস্তার পানির ন্যায্য অংশ দেওয়া প্রয়োজন যা ইতিমধ্যে উভয় সরকার সম্মত হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারতের আন্তরিক প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করে এবং এই চুক্তি দ্রুত শেষ করার জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

একইভাবে, প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন, গোমতী, খোয়াই, কুশিয়ারা, তিস্তা, ফেনী এবং মুহুরির মতো অভিন্ন নদীতে একটি ন্যায়সঙ্গত সমন্বিত জলবণ্টন চুক্তি সম্পাদন করা প্রয়োজন কারণ মানুষ বুঝে যে ভারত বাংলাদেশী জনগণের চাহিদার সাথে ন্যায্যতা মানে।

তিনি বলেন, বিগত ৫০ বছর তাদের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের বিকশিত দৃশ্যপটে আগামী ৫০ বছরের পথ চলার পথ দেখাবে, যেখানে বন্ধুত্ব ও অংশীদারিত্ব আরও গভীর ও সুসংহত হবে।

প্রফেসর রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে বক্তৃতা করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, এমপি এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কে. দোরাইস্বামী।

এ সম্পর্কিত আরও খবর