শেরপুরে গলাকাটা লাশ উদ্ধার, গ্রেফতার ৩

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-29 18:28:22

শেরপুরের নকলা উপজেলার ধনাকুশা নদীরপাড়ের কাঁচারাস্তার উপর থেকে মুনছুর আলী ফকিরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ক্লু -লেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. মুনছুর আলী, মো. আশিক মিয়া এবং মো. আমির হোসেন।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম।

তিনি বলেন, রোববার (১২ ডিসেম্বর) শেরপুরের নকলা উপজেলার ধনাকুশা নদীরপাড়ের কাঁচারাস্তার উপর থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে জানা যায় যে, ভিকটিমের নাম মুনছুর আলী ফকির। ভিকটিম মুনছুর বিভিন্ন যানবাহনে হেলপারের কাজ করত বলে জানা যায়।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মুনছুরের পিতা হানিফ উদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে শেরপুর জেলার নকলা থানায় একটি অজ্ঞাতনামা মামলা দায়ের করেন। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় সিআইডি ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে।

হত্যার ঘটনাটি কেন এবং কিভাবে সংগঠিত হয়েছে, ঘটনায় কে বা কারা জড়িত, কারো সাথে পারিবারিক/ব্যবসায়িক পূর্ব কোন বিরোধ ছিল কিনা ইত্যাদি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর ভিকটিমের পরিবার, ঘটনাস্থল ও আশপাশ এলাকার বিভিন্ন উৎস হতে সরেজমিনে সংগ্রহ করা হয়। পরবর্তীতে সংগৃহীত বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত বিচার বিশ্লেষণ করে আসামিদের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে এলআইসির একাধিক চৌকস টীম অভিযান পরিচালনা করে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্দিরগঞ্জ এলাকা হতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা জানায় যে, নিহত মুনছুর তাদের কাছ  থেকে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে আসামিদের সাথে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমকে ডেকে নিয়ে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করে বলে জানান তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর