সিনহা হত্যা মামলার আসামিরা এজলাসে, রায়ের অপেক্ষা

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার | 2023-09-01 11:50:46

বহুল আলোচিত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার ১৫ আসামিকে আদালতের এজলাস কক্ষে তোলা হয়েছে। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) ২টার দিকে ১৫ আসামিকে এজলাস কক্ষে নিয়ে আসা হয়। তারপর তাদের দাঁড় করানো হয় কাঠগড়ায়।

এর আগে পৌনে ২টার দিকে আসা কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঘিরে প্রিজন ভ্যানে করে আসামিদের আদালত প্রাঙ্গণে আনা হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রায় দেড় বছর পর কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল আজ এ রায় ঘোষণা করবেন।

সকালে রায় ঘোষণা করার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে দুপুর করা হয়। তবে রায় জানতে সকাল থেকে আদালত প্রাঙ্গণে মানুষের ভিড় দেখা গেছে।সিনহার বোন, মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসও তার স্বামীকে নিয়ে উপস্থিত আছেন আদালতে।


আসামিরা হলেন- টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, উপ-পরির্দশক (এসআই) টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা।

এদিকে রায় ঘোষণাকে ঘিরে আদালত পাড়ায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতি কম। পুরো আদালত চত্বর জুড়ে অবস্থান নিয়েছে নিরাপত্তাকর্মী। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন। রায়কে ঘিরে স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে।


প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি এবং রামু থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি টেকনাফ থানায় নথিভূক্ত করার পর আদালত তদন্তভার দেন র‌্যাবকে।

একই সঙ্গে পুলিশের দায়ের করা মামলা তিনটিও র‌্যাবকে তদন্ত করার আদেশ দেন আদালত। ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর র‌্যাব-১৩ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে ১৪ জন কারাগারে থাকলেও টেকনাফ থানার কনস্টেবল সাগর দেব পলাতক ছিল। অভিযোগপত্রে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে। একই দিন পুলিশের দায়ের করা মামলা ৩টির চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালত অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করে পলাতক আসামি কনস্টেবল সাগর দেবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই সাথে পুলিশের দায়ের ৩টি মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলা থেকে সাইদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন আদালত।

আরও পড়ুন: ওসি প্রদীপের ফাঁসি চেয়ে আদালতের সামনে মানববন্ধন

সিনহা হত্যার রায় পিছিয়ে দুপুর ২টায়

প্রদীপ-লিয়াকতের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা সিনহার বোনের

সিনহা হত্যার রায় জানতে আদালতে ভিড়

এ সম্পর্কিত আরও খবর