ওসি প্রদীপের ফাঁসি চেয়ে আদালতের সামনে মানববন্ধন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ওসি প্রদীপের ফাঁসির চেয়ে আদালতের সামনে মানববন্ধন

ওসি প্রদীপের ফাঁসির চেয়ে আদালতের সামনে মানববন্ধন

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হবে সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে। রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার আদালত চত্বরে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

এদিকে আদালত চত্বরে সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ ব্যানার হাতে নিয়ে ওসি প্রদীপের ফাঁসি চেয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন।

বিজ্ঞাপন

তারা বলেছেন, আমরা যতদূর জানি ষড়যন্ত্র করে ও পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। ওসি প্রদীপ পুলিশ হয়ে একজন সন্ত্রাসী। আমরা আদালতে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছি। এমন নিষ্ঠুর ঘটনা যাতে আর না ঘটে, যেন আইনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা থাকে।

এদিকে আদালত চত্বর ঘুরে দেখা গেছে, আদালত পাড়ায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতি কম। পুরো আদালত চত্বর জুড়ে অবস্থান নিয়েছে নিরাপত্তাকর্মী। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন। রায়কে ঘিরে স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে।

বিজ্ঞাপন

আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী জানিয়েছে, সিনহা হত্যা মামলার রায়কে ঘিরে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে পুলিশের সর্বোচ্চ নজর রয়েছে। আদালতে নিরাপত্তার স্বার্থে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও বিপুল সংখ্যক পুলিশ থাকবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত সৃষ্টির ৩৮ বছরের ইতিহাসে এ প্রথম এত দ্রুত কোনো হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হবে। ২৯ কর্ম দিবসে আদালত বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ করে এই মামলার রায় প্রদান করবেন।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি এবং রামু থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদি হয়ে ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি টেকনাফ থানায় নথিভূক্ত করার পর আদালত তদন্তভার দেন র‌্যাবকে।

একই সঙ্গে পুলিশের দায়ের করা মামলা তিনটিও র‌্যাবকে তদন্ত করার আদেশ দেন আদালত। ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর র‌্যাব-১৩ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে ১৪ জন কারাগারে থাকলেও টেকনাফ থানার কনস্টেবল সাগর দেব পলাতক ছিল। অভিযোগপত্রে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে। একই দিন পুলিশের দায়ের করা মামলা ৩টির চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালত অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করে পলাতক আসামি কনস্টেবল সাগর দেবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই সাথে পুলিশের দায়ের ৩টি মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলা থেকে সাইদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন আদালত।