ইউক্রেনের ‘অলভিয়া বন্দরে আটকে পড়া বাংলাদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ এর ২৯ জন নাবিক সুস্থ ও ভালো আছেন। নেই খাবার সংকটও। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে প্রথমেই নাবিকদের নিরপত্তা চেয়ে আইএমও (ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন) সহ সংশ্লিষ্ঠ দেশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন যুদ্ধকালীন সময়ে কেনো দেশের বন্দর থেকে জাহাজ সরাতে হলে সে দেশের অনুমতি লাগে। আর যে নৌপথ ব্যবহার করা হবে সেখানেও অন্যদেশের সৈন্য বা মাইন স্থাপন করা থাকতে পারে। এছাড়াও নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। এ কারণে আমরা সংশ্লিষ্ট ইউক্রেন, রাশিয়া ও পোল্যান্ড দূতাবাসকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। আমরা প্রথমে আমাদের নাবিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বলেছি। পাশাপাশি নৌ যানের নিরাপত্তা চেয়েছি।
এ বিষয়ে নৌপরিবহন অধিদফতর (ডিজি শিপিং) এর মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে জানান, নাবিকদের বিষয়ে আমরা নানাভাবে কাজ করছি। প্রথমে আমরা আইএমও সেক্রেটারি জেনারেলকে গতকাল চিঠি দিয়েছি। বাংলাদেশস্থ মেরিটাইম ইউনিট এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইউনিটকে বিষয়টি অবহিতকরা হয়েছে। আমারা নাবিক ও জাহাজের নিরাপত্তা পেয়েছি। পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে জাহাজটি সরিয়ে দেওয়ার জন্যও অনুরোধ জানিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, অনুমতি ছাড়া কোনো জাহাজ সে দেশের বন্দর ত্যাগ করতে পারে না।আশপাশের সমুদ্রে অন্য দেশ জাহাজ চলাচলের প্রতিবন্ধক ব্যবস্থা নেওয়ারও শঙ্কা রয়েছে। তবে এই বন্দরে শুধু বাংলাদেশি জাহাজ নয়, বিদেশি আরো ১২টি জাহাজ রয়েছে।আমরা নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) সূত্র জানায়, জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি ২৯ নাবিক অনিশ্চিয়তার মধ্যে রয়েছে।জাহাজটি গত ২৬ জানুয়ারি ভারতের মুম্বাই বন্দর থেকে যাত্রা করে এবং তুরস্কের ইরেগলি হয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের ‘অলভিয়া’ বন্দরের বহির্নোঙ্গরে পৌঁছে। ২২ ফেব্রুয়ারি জাহাজটি বন্দরে নোঙ্গর করে।
জাহাজে অবস্থিত নাবিক রোকনুজ্জামান রাকিব এর বোন নূপুর বার্তা২৪.কমকে জানান, তার ভাই এবং ২৮ নাবিক অনশ্চিয়তা ও শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। তিনি এ জাহাজের নাবিকদের উদ্ধারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ জানান।