বিকেলে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আজ বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। যদিও এর প্রভাব বাংলাদেশে পড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। তবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বলা হয়, আজ বিকেল নাগাদ এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা আছে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ফেনগাল। বাংলাদেশে এর প্রভাব সেভাবে পড়ার সম্ভাবনা নেই। উপকূলীয় অঞ্চলে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ঢাকার আকাশ মেঘলা থাকবে। এটি শ্রীলঙ্কার দিকে যাবে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে আবহাওয়ার এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ সকাল ৬টায় (২৮ নভেম্বর) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৮২৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৭৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ৭১৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।

এতে আরও বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝাড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১ (এক) নম্বর (পুন:) ১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এদিকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার জন্য দেওয়া আবহাওয়ার এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। আর তাপমাত্রা সারাদেশে রাত এবং দিনে সামান্য বাড়তে পারে।

আগামীকাল শুক্রবারের (২৯ নভেম্বর) আবহাওয়ার বার্তায় বলা হয়, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এছাড়াও আগামী ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়, রাত ও দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে।