বরগুনা পৌর শহরের মসজিদ মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৫ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ২০টি বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সোমবার (৭ মার্চ) রাত ১০ টার দিকে পৌর শহরের প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল সড়কে সদরঘাট মসজিদ মার্কেট এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন, পুলিশ, স্কাউট ও ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট ঘণ্টাব্যাপী প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, রাত ১০টার দিকে পৌর শহরের প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল ও অগ্রণী ব্যংকের বিপরীতে লেপ-তোশকের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। দ্রুত তা আশপাশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালায়। প্রায় এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসলেও পুড়ে গেছে অন্তত ১৫টি ব্যবসা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
ওই সড়কের ওষুধব্যবসায়ী মো. হায়দার হোসেন বলেন, কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। আমার দোকানটি পুড়ে ছাই হয়েছে। এই সড়কে প্রায় অর্ধশতাধিক লেপ-তোষক, পোশাক, পশু খাদ্য ও ওষুধের দোকানসহ দোকানী স্বত্বাধিকারীদের বসতঘর। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই গলির অন্তত ১৫ দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে।
সড়কের পশুখাদ্য বিক্রতা নাসিম আহমেদ বলেন, আমার দোকানে প্রায় ২০ লাখ টাকার পশুখাদ্য ছিল। সব পুড়ে ছাই হয়েছে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার ও বরগুনা পৌরসভার প্যানেল মেয়র রাইসুল আলম রিপন বলেন বলেন, ১৫টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ২০টি বসতঘর পুড়েছে। ব্যবসায়ীদের অন্তত পাঁচ কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস বরগুনার উপসহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আহমেদ জানান, খবর পেয়ে বরগুনার ২টি ইউনিট, বেতাগীর একটি, আমতলীর একটি ও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি। প্রায় একঘণ্টা প্রচেষ্টায় আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে।
তিনি আরও বলেন, আগুনের উৎস খুঁজে বের করতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। এখনও পর্যন্ত কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।
বরগুনার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমদ বলেন, পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই এলাকার নিরাপত্তা রক্ষা ও আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করে। আগুন নেভাতে গিয়ে একজন পুলিশ সদস্যসহ স্থানীয় কয়েকজন আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।