যশোরের বেনাপোল -পেট্রাপোল সীমান্তের শুন্য রেখায় এক ছায়ায় মিলিত হলো দুই বাংলা। পারস্পরিক সৌহাদ্য সর্ম্পক্য এদিন মিলন মেলায় পরিনত হয়।
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিকাল সাড়ে ৫ টায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ এর যৌথ রিট্রিট অনুষ্ঠানে এ দৃশ্য দেখা যায়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিজিরি উপ-মহাপরিচালক ও দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের রিজিওন কমান্ডার মো. ওমর সাদিক, সেক্টর কমান্ডার মামুন অর রশিদ ও ৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল সৈয়দ মিনহাজ সিদ্দিকী।
ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিএসএফের ডিআইজি এন. চাতুরভেদি, ১৭৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার কর্নেল তাশমিকান্ত , ও কর্নেল এসতাভার সিং।
বিজিবির উপ মহাপরিচালক মো. ওমর সিদ্দিক বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং দেশের জন্য শহীদ হয়েছেন যারা তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আমরা রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা আমরা অর্জন করেছি সেটি যে কোনো মূল্যে রক্ষা করবো।
‘রিট্রিট সেরেমনি’ প্যারেডে বিজিবি-বিএসএফ এর কর্মকর্তা ছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ উভয় দেশের সর্বস্তরের জনগণ দর্শনার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশ-ভারতের জনগণের মধ্যে যে বন্ধুপ্রতিম ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত হয়েছিল। সেই ভাতৃত্ববোধ সম্প্রসারণের পাশাপাশি উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ বৃদ্ধির অংশ হিসেবে এ ‘রিট্রিট সেরেমনি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নোম্যান্সল্যান্ডে কুচকাওয়াজ, জাতীয় পতাকা নামানো, মিষ্টি ও উপহার সামগ্রী তুলে দেয়া হয় বিএসএফ কর্মকর্তাদের হাতে।