দক্ষিণ জনপদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু চলতি বছরের শেষ নাগাদ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে নওগাঁ-২ আসনের শহীদুজ্জমান সরকারের প্রশ্নের উত্তরে সরকার প্রধান এ কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের উভয় প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোড ও সার্ভিস এরিয়ার কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। মূল সেতুর ভৌত অগ্রগতি ৯৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে,” বলেন সরকারপ্রধান।
এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, এ বছর জুন মাসেই পদ্মা বহুমুখী সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে।
সংসদের প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের সাহসী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সকল বাধা বিপত্তি পেরিয়ে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য পদ্মা সেতু হতে যাচ্ছে এর ইতিহাসে সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং প্রকল্পসমুহের একটি।
বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে দীর্ঘ টানাপড়েন শেষে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন, নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করবে বাংলাদেশ। এরপর ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর তিনি সেতুর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন। ঠিক পাঁচ বছরের মাথায় পূর্ণ আকৃতি পায় স্বপ্নের সেতু, যুক্ত হয় পদ্মার দুই পাড়।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতু নির্মাণে সংশোধিত ব্যয় বেড়ে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা হয়েছে বলে সংসদে জানান প্রধানমন্ত্রী।