স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কার গাফিলতি আছে, সেটি বের করতে উচ্চ পর্যায়ের দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মামলাও হয়েছে। তদন্ত কমিটির তদন্তে যারা দোষী সাব্যস্ত হবে, যাদের গাফিলতি পাব, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা যদি ইচ্ছাকৃত কিছু করে থাকে, অবশ্যই তারা সেই অনুযায়ী শাস্তি পাবে। তদন্তের আগে কে দোষী, কে নির্দোষ আমরা বলছি না। আমরা মনে করি, এটা তদন্তের পরই সবকিছু পাব।
শুক্রবার (১০ জুন) সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর আনসার–ভিডিপি একাডেমিতে নবনিযুক্ত ব্যাটালিয়ন আনসারের (২২তম ব্যাচ, পুরুষ) মৌলিক প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
মন্ত্রী আরও বলেন, আগে ফায়ার সার্ভিস ঘণ্টা বাজিয়ে বাজিয়ে আগুন নেভার পর ঘটনাস্থলে যেত। পরবর্তী সময় বর্তমান সরকার প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ফায়ার স্টেশন করেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের প্রশিক্ষণ, দক্ষতা ও সময়োপযোগী যন্ত্রপাতি এনে দিয়েছেন। বসুন্ধরায় আগুন লেগেছিল, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দৃশ্য দেখা ছাড়া উপায় ছিল না। তখন ছয়তলার ওপর মই ছিল না, কিন্তু এখন সেটা ২২ তলায় পৌঁছায়।
নবীন ব্যাটালিয়ন আনসারদের কুচকাওয়াজের শুরুতেই প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান একটি সুসজ্জিত খোলা জিপে প্যারেড পরিদর্শন করেন। পরে প্রশিক্ষণার্থীরা ছয় সারিতে মার্চ পাস্ট করে প্রধান অতিথিকে অভিবাদন জানান। ৪৪২ জন নবনিযুক্ত ব্যাটালিয়ন আনসার ছয় মাস মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে সমাপনী কুচকাওয়াজে অংশ নেন।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, বর্তমান সরকারের বিগত ১২ বছরের সময়কালে এ বাহিনীর সদস্যদের জন্য নতুন পোশাক প্রবর্তন, পারিবারিক রেশন প্রদান, সাহসিকা ও সেবামূলক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্রীয় পদক প্রবর্তন, কর্মকর্তাদের জন্য দ্বিতীয়, তৃতীয় ও পঞ্চম গ্রেডে পদ সৃজন এবং মহাপরিচালকের পদটি প্রথম গ্রেডে উন্নিত করা হয়েছে। অন্যান্য পদের মানোন্নয়ন ও কর্মকর্তাদের বৈশ্বিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপজেলা প্রশিক্ষকদের উপজেলা আনসার–ভিডিপি কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আখতার হোসেন ও বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক, কমান্ড্যান্ট, উপমহাপরিচালক (প্রশাসন), উপমহাপরিচালকসহ (অপারেশনস) সদর দপ্তর ও একাডেমির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি কৃতী ও চৌকস প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করেন। এবার মৌলিক প্রশিক্ষণে সাগর আলী শ্রেষ্ঠ ড্রিল, শরিফুল ইসলাম শ্রেষ্ঠ ফায়ারার এবং মো. গুলজার আলী চৌকস প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে প্রথম স্থান অধিকার করেন।